বিশেষ সংবাদদাতা : গ্যাসের স্বল্পতা। চাপ কমাতে গ্যাসনির্ভর সব বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আর এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য বরাদ্দ গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে সার কারখানায়। এমন দুরবস্থা চলছে চট্টগ্রামে।
এ নিয়ে জ্বালানি বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হলে সেখান থেকে জানানো হয়, আবার কবে চট্টগ্রামের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে গ্যাস সরবরাহ করা হবে তা এখনো অনিশ্চিত। এমন সিদ্ধান্তের কারণে  চট্টগ্রামসহ সারাদেশে বিদ্যুৎ সঙ্কট বেড়েছে।
চট্টগ্রামের গ্যাসের বড় গ্রাহক কাফকো ও সিইউএফএল। এই দুই সার কারখানায় দৈনিক ১১ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা আছে। কাফকোতে চার কোটি ঘনফুট আর সিইউএফএলে আড়াই কোটি ঘনফুট। সিইউএফএল দুই বছর বন্ধ রাখার পর গত ২৬ জানুয়ারি চালু করা হয়েছে। যদিও এই শিল্প কারখানাটি এখনো উৎপাদনে যেতে পারেনি।
জানা যায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এরপর থেকে রাউজানের দু’টি ইউনিট, শিকলবাহায় ১৫০ ও ৬০ মেগাওয়াটের দু’টি ইউনিটে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। চট্টগ্রামে গ্যাসনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারটি ইউনিটে গ্যাসের  দৈনিক চাহিদা প্রায় ১৫ কোটি ঘনফুট। এসব কেন্দ্রে ৬৩০  মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছিল। চট্টগ্রামে গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৫০ কোটি ঘনফুট। আর দৈনিক সরবরাহ হচ্ছে ২৩ কোটি ঘনফুট। রাউজানে বিদ্যুৎকেন্দ্রের দু’টি ইউনিটের দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ৪২০ মেগাওয়াট। এতে গ্যাসের চাহিদা রয়েছে ৯ কোটি ঘনফুট। গ্যাস সঙ্কটে গত কয়েক বছর একটি ইউনিট চালু রাখলে অপরটি বন্ধ রাখতে হয়।
এতদিন দুই নম্বর ইউনিট চালু ছিল। সেটি থেকে দৈনিক ১৮০  মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। একটি ইউনিটে চাহিদা অনুপাতে গ্যাস বরাদ্দ পাওয়া যেত না। শিকলবাহায় ১৫০ ও ৬০ মেগাওয়াটের দু’টি ইউনিটে উৎপাদন বন্ধ আছে। এখানে ১৫০ মেগাওয়াটের সান্ধ্যকালীন বিদ্যুৎকেন্দ্রে ডিজেল দিয়ে উৎপাদনের সুবিধা আছে।
আর ৬০ মেগাওয়াটের ইউনিটের মেরামত কাজ করার পর কয়েক দিন চালু ছিল। ১৫০ মেগাওয়াট গত এক মাস গ্যাস সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। এখন পিডিবির চাহিদা অনুপাতে ডিজেল দিয়ে মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
এ অবস্থায় গ্যাসের অভাবে শিল্প ও আবাসিক এলাকায়  লোডশেডিং বেড়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাউজান বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক কর্মকর্তা বলেছেন, গ্যাস ছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালু করার সুযোগ নেই।