Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেশি অভিযোগ বেসরকারি ব্যাংকের বিরুদ্ধে

ব্যাংকিং সেবায় হয়রানির অভিযোগ ৪৫৩০টি

| প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ব্যাংকিং খাতে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আর্থিক অনিয়ম ও হয়রানির শিকার হয়ে চার হাজার ৫৩০টি অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা। যার শতভাগ নিষ্পত্তি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স রুমে গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশকালে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাংকিং খাতে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে গ্রাহকরা আর্থিক অনিয়ম ও হয়রানির শিকার হয়ে টেলিফোনে দুই হাজার ৩৮৪টি এবং লিখিতভাবে দুই হাজার ১৪৬টি অর্থাৎ মোট চার হাজার ৫৩০টি অভিযোগ করেছেন, যা গত অর্থবছরের তুলনায় ৬০০টি অভিযোগ বেশি। এর আগে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে গ্রাহকরা মোট তিন হাজার ৯৩০টি অভিযোগ করেছিলেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী আরো জানা যায়, সবচেয়ে বেশি অভিযোগ এসেছে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিরুদ্ধে, যা মোট অভিযোগের ৫৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। এ ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিরুদ্ধে ২৮ দশমিক ২৮ শতাংশ। বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিরুদ্ধে ৪ দশমিক ০৬ শতাংশ। বিশেষায়িত ব্যাংকের বিরুদ্ধে ৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে শীর্ষে দেশের বৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালী ব্যাংকের ৫৬৩টি, বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংকের ৩৭৩টি, রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের ২৯১টি, বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের ২৬৮, রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের ২৩১টি, বেসরকারি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ২০৪টি, রাষ্ট্রায়ত্ত কৃষি ব্যাংকের ১৮৪টি, বেসরকারি পূবালী ব্যাংকের ১৩২টি, রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ভ্যাংকের ১৩১টি এবং বেসরকারি ইস্টার্ন ব্যাংকের বিরুদ্ধে ১২৬টি অভিযোগ আসে।           
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাংকারদের মতে, সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যাঞ্চ সংখ্যা ১২ হাজার ৯টি। সেখানে ৫৬৩টি অভিযোগ আসতেই পারে। তবে বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংকের মাত্র ১৭২টি শাখায়ই ৩৭৩টি অভিযোগ এসেছে। যা অধিক বলে উল্লেখ করেন তারা। এ বিষয়ে মনিটরিং জোরদারের আহ্বান জানান ব্যাংকাররা।
প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মাসুম কামাল ভূঁইয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফিন্যান্সিয়াল অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিস ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক এ কে এম আমজাত হোসেন।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিস এ খান, কনজুমার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম রহমানসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১১ সালের ১ এপ্রিল গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণ কেন্দ্র গঠন করে। পরে এর পরিধি বাড়তে থাকায় আরো বৃহৎ পরিসরে ঢেলে সাজিয়ে ২৫ জুলাই ২০১২ সালে গঠন করা হয় ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রেটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিস বিভাগ (এফআইসিএসডি)।
যেখানে ফ্যাক্স (০০৮৮-০২-৯৫৩০২৭৩), ই-মেইল (নন.পরঢ়প@নন.ড়ৎম.নফ), এসএমএস এবং ১৬২৩৬ নাম্বারে ডায়াল করে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ও হয়রানির বিরুদ্ধে গ্রাহকরা অভিযোগ করতে পারেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ