পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : এক-এগারোর সরকারের সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। গতকাল (মঙ্গলবার) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. শাহে নূরের আদালতে তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এই মামলা থেকে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে অব্যাহতি দিয়ে হাই কোর্টের দেয়া রায় গত বছর বাতিল করে নিম্ন আদালতে বিচারের নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ।
দুদকের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, সেই আদেশ অনুসরণ করেই আজ মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন মামলার দুই আসামি গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং হোটেল গোল্ডেন ইন লিমিটেডের পরিচালক ফখরুল আনোয়ার।
আদালত তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করে ১২ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন। পাশাপাশি মামলার শুনানির দিনে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি চেয়ে করা মন্ত্রীর আবেদনও মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ মামলার তিন আসামির মধ্যে অন্যজন ফটিকছড়ি থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি রফিকুল আনোয়ার মারা গেছেন।
বিষয়টি শুনানিতে উল্লেখ করলে আদালত এ বিষয়ে পুলিশ প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান আইনজীবী সানোয়ার। শুনানিতে মন্ত্রীর পক্ষে অংশ নেন ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী থাকার সময়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় একটি জমি বরাদ্দ সংক্রান্ত দুর্নীতি ও ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ এনে ২০০৭ সালের ২২ নভেম্বর নগরীর ডবলমুরিং থানায় মামলাটি করেন দুদকের তখনকার উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।
মামলার এজাহারে বলা হয়, এক দশমিক ৪৪ বিঘা আয়তনের জমিটি জনগণের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ছিল। ওই জমিটি গোল্ডেন ইন হোটেলের নামে সাবেক এমপি রফিকুল আনোয়ার ও তার ভাই ফখরুল আনোয়ারকে ইজারা দেওয়ার সুপারিশ করেন মন্ত্রী। ওই জমির মূল্য ধরা হয়েছিল এক কোটি ৬৯ লাখ ২০৭ টাকা। পরে ‘লিজের শর্ত ভেঙে’ মেসার্স সানমার হোটেল লিমিটেডের নামে ওই জমির ইজারা নিবন্ধন করা হয়।
এক্ষেত্রে দলিলে উল্লেখ করা দরের চেয়ে সানমার হোটেলের কাছ থেকে ২ কোটি ৯২ লাখ ৭৮ হাজার ৭৪৮ টাকা বেশি আদায় করা হয় বলে দুদকের এজাহারে বলা হয়। মামলায় বলা হয়, এর বিনিময়ে মন্ত্রীর নির্দেশে তার স্ত্রীর একটি ব্যাংক হিসাবে ৫৫ লাখ টাকা জমা করা হয়। এভাবে একজনের নামে বরাদ্দ জমি অন্য জনের নামে ইজারা নিবন্ধনের মাধ্যমে সরকারের চার কোটি ৬১ লাখ টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয় বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়। এ মামলায় ২০০৮ সালে তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন মামলাটি বাতিলের আবেদন করলে ২০০৮ সালে হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ রুল জারি করে। ওই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে ২০১২ সালের ২০ নভেম্বর বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি ফরিদ আহমেদের বেঞ্চ মামলাটি বাতিল করে দেন। পরে এর বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন করে দুদক। সেই লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে আপিল বিভাগ হাই কোর্টের রায় বাতিল করে দেয় গত বছরের ৮ মে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।