পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : অদৃশ্য শক্তির ইশারায় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ও সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক। অদৃশ্য শক্তির ইশারায় প্রশাসনের ছত্রছায়ায় নিজ নির্বাচনী এলাকা শেরপুরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে হুইপ আতিউর রহমান আতিক এ দাবি করেন। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে সভাপতিত্ব করছিলেন। আতিউর রহমান আতিক বলেন, কিছুদিন আগে সারা দেশে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই সূত্র ধরে আমার জেলা শেরপুরেও হয়েছে। সেখানে আমাদের দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হুমায়ুন কবির রোমান পাস করেছে। পাস করার পর শেরপুরে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, অদৃশ্য শক্তির ইশারায় সেখানে প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। আর প্রশাসনের ছত্রছায়ায় শেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে হুমকি দেয়া হয়েছে। এমনকি সিভিল সার্জনের টেবিলে অস্ত্র রেখে একটা অবৈধ কাগজে সই করানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সেকান্দার আলী কলেজের অধ্যক্ষকে হুমকি দেয়া হয়েছে। আরেক কলেজের অধ্যক্ষকে ধরে তার কাছ থেকে ছিনতাই করে চাবি নিয়ে তার পরিবর্তে অন্য আর একজনকে অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এসময় তিনি স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। হুইপ আতিক বলেন, আমার এলাকার চেয়ারম্যান গাজী খামারে চেয়ারম্যানকে প্রকাশ্য দিবালোকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এটি গণমাধ্যমেও এসেছে। আমার কলেজ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ সুজনকে গত ৩১ জানুয়ারি নির্মমভাবে পিটিয়াছে। সে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এর জন্য সড়ক অবরোধ হয়েছে। সোমবার সারা শেরপুরে মানববন্ধন হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের হাত থেকে কোনো রকম সহায়তা পাচ্ছি না। সরকার দলীয় এই এমপি বলেন, জেলা প্রশাসনের ছত্রছাত্রায় অদৃশ্য শক্তির ইশারায় শেরপুরটাকে অশান্ত করে তুলছে। তাই আমার শেরপুরের মানুষের দাবি সন্ত্রাসী যেই হোক অবিলম্বে তার বিচার করতে হবে। সন্ত্রাসীর কোন দল নাই। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন সন্ত্রাসীর কোনো দল নেই। তাই সন্ত্রাসী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তার বক্তব্যের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করে জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, ঘরের সব কথা বাইরে বলতে নেই। আমরা একদমই এটা এড়াতে পারি না। যারা সন্ত্রাসী করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এখন রাজনীতির ক্ষেত্রে চরম অস্থিরতা চলছে। এসময় জাতীয় পার্টির আরেক এমপি ফখরুল ইমাম বলেন, সংসদের হুইপ যদি এই কথা বলেন তাহলে আমাদের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। উনার এলাকায় ডিজ অর্ডার হয়েছে উনি সংসদে এনেছেন। এটা যদি হয় তাহলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ৩০০ বিধিতে বিবৃতি দিতে হবে। যদি না দেয় তাহলে ধরে নেব সরকার ব্যর্থ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।