পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719648225](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ২০২১ সালের আগেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। সে অনুযায়ী ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে ‘জিএসপি প্লাস’ সুবিধার আওতায় বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা পেতে এখনই কাজ শুরু করা হয়েছে। গতকাল সোমবার হোটেল লা মেরিডিয়ানে ইউরোপিয়ান কমিশন আয়োজিত জিএসপির মধ্যবর্তী মূল্যায়নবিষয়ক স্টেকহোল্ডার আউটরিচ ওয়ার্কশপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
রানা প্লাজা ধসের পর পোশাক শিল্পের কর্মপরিবেশসহ নানা ক্ষেত্রে উন্নতির কথা স্মরণ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, পরিশ্রম অনুযায়ী ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকরা। পোশাক শিল্পে জিএসপি সুবিধা অব্যাহত রাখায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, গত অর্থবছরে বাংলাদেশের রফতানি আয় ছিল ২৮ বিলিয়ন ডলার। যার মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে এসেছে প্রায় ১৮ বিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবছরে তা আরো বাড়বে। এর পেছনে জিএসপি সুবিধা অসাধারণ ভূমিকা রেখেছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদুন বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে সবচেয়ে সুবিধা পাওয়া দেশ বাংলাদেশ। জিএসপি ও ইবিএন সুবিধা শুধু রফতানি বাড়ায়নি, এর ফলে দেশে কর্মসংস্থানসহ আর্থসামাজিক উন্নয়ন বেড়েছে। পোশাক খাতে ৪০ লাখ নারী শ্রমিক কাজ করছে জানিয়ে মায়াদুন বলেন, ইবিএ সুবিধা এদের দারিদ্র্য দূরীকরণে সাহায্য করেছে।
মায়াদুন বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বাজারসুবিধা নীতির আলোকে বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলো (এলডিসি) ইইউতে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারমূলক বাজার (জিএসপি) সুবিধা পায়। তবে এই জিএসপি হলো অস্ত্র বাদে সব (ইবিএ) পণ্যে শুল্কমুক্ত বাজারসুবিধা। বর্তমানে শুধু এলডিসিগুলো এ সুবিধা পায়। তবে এলডিসির কাতার থেকে বেরিয়ে গেলে বাংলাদেশ আর এ সুবিধা পাবে না। সে ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য জিএসপি প্লাস হিসেবে পরিচিত যে বাজারসুবিধা রয়েছে, বাংলাদেশ এর আওতায় পড়বে। টেকসই উন্নয়ন ও সুশাসনের জন্য সহায়তা হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জিএসপি প্লাস সুবিধা প্রদান করা হয়, যা ইবিএর মতো সব পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয় না। বর্তমানে পাকিস্তানসহ ২৫টি উন্নয়নশীল দেশ এ সুবিধা পায়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইউরোপিয়ান কমিশনের বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালক ডেনিয়েল ক্রেমার, এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো, বাংলাদেশের ভাইস চেয়ারম্যান মাফরুহা সুলতানা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।