Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বিল পাস

| প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ একাডেমী ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট অর্ডিন্যান্স ১৯৮৬ রহিত ও সংরক্ষণ দিয়ে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী বিল ২০১৭ পাস হয়েছে।
গতকাল (মঙ্গলবার) জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের চতুর্দশ ও শীতকালীন অধিবেশনে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর আনীত বিলটি জনমত যাচাই ও সংশোধনীগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। পরে বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে সামরিক শাসনামলে জারিকৃত অধ্যাদেশগুলো বাতিল হয়ে গেলে উক্ত আইনটিও রহিত হয়ে যায়। পরবর্তীতে রহিত অধ্যাদেশ বলে গঠিত ও পরিচালিত প্রতিষ্ঠানসমূহের আইনী শূন্যতা সমাধানকল্পে ২০১৩ সালে বাতিল আইনসমূহের কার্যকারিতা অব্যাহত রাখার স্বার্থে প্রেসিডেন্ট কর্তৃক অধ্যাদেশ কার্যকারণ বিশেষ বিধান জারি করা হয়।
বিলে বলা হয়, একাডেমী পরিচালনার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীকে চেয়ারম্যান করে ও মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিবকে ভাইস চেয়ারম্যান করে ১৭ সদস্যের একটি পরিচলনা বোর্ড থাকবে। একাডেমীর মহাপরিচালক সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
একাডেমী পল্লী উন্নয়ন ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে গবেষণা, পল্লী উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন, পল্লী উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নে সরকারকে সহায়তা প্রদান করবে। একাডেমী তার দায়িত্ব ও কাজ সম্পাদনের জন্য নির্ধারিত শর্তে ঋণ নিতে পারবে। একাডেমীর একটি তহবিল থাকবে। তহবিলে সরকারের অনুদানসহ দেশী-বিদেশী সরকার ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদান ও ঋণ নেয়ার এখতিয়ার দেয়া হয়েছে। আইনে বাংলাদেশ একাডেমী ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট অর্ডিন্যান্স ১৯৮৬ রহিতকরণ ও নতুন আইনে উক্ত সময়ে সম্পাদিত কাজের সংরক্ষণ দেয়া হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। কৃষির আধুনিকীকরণসহ দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অনেক মডেল সৃষ্টি করেছে। দেশে-বিদেশে অধিকতর সমাদৃত হয়েছে। জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে এর আইনী কাঠামো আরো শক্তিশালীকরণ প্রয়োজন। এ জন্য আইনের খসড়া বিলটি গত এপ্রিল মাসের মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়। বিলে আর্থিক সংশ্লিষ্টতা জড়িত থাকায় সংবিধানের ৮২ অনুচ্ছেদ মোতাবেক প্রেসিডেন্টের সুপারিশ পাওয়া গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ