Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র : প্রবীণদের মর্যাদা কবে নিশ্চিত হবে

| প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

পত্র-পত্রিকায় পড়েছিলাম আর বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে শুনেছিলাম- বাংলাদেশ সরকার ষাট ও ষাটোর্ধ্ব নারী-পুরুষদের ‘সিনিয়র সিটিজেন’ হিসেবে মর্যাদা  দিতে যাচ্ছে। সিনিয়র সিটিজেনরা বিশেষ কার্ড, চিকিৎসা, যাতায়াতে অর্ধেক ভাড়া ও আবাসনসহ বিভিন্ন সুবিধা পাবেন। শিক্ষিত এবং দক্ষ প্রবীণদের কাছ থেকে রাষ্ট্রের উন্নয়নে বিভিন্ন পরামর্শ নেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রবীণ উন্নয়ন নামে একটি আইন এবং প্রবীণ ফাউন্ডেশন নামে সংস্থা গঠনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। কিন্তু তারপর তো বছর পেরিয়ে গেল, আজো এর বাস্তবায়ন দেখতে পাচ্ছি না।
আফ্রিকায় একটি প্রবাদ প্রচলিত আছেÑ একজন বৃদ্ধের মৃত্যু হলে পৃথিবী একটি গ্রন্থাগারকে হারায়। প্রবীণরা অনেক অভিজ্ঞতা ধারণ করেন, যা তরুণ প্রজন্ম এবং সমাজকে পথ দেখায়। আজকের প্রবীণরা একদিন কর্মচঞ্চল তরুণ ছিলেন, এ দেশ গঠনে তাদের অবদান আছে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আজকের প্রবীণদের অবদানের কথা ভুলে যাওয়ার নয়। কিন্তু তা কজনেই বা মনে রাখেন। সংশ্লিষ্ট বিভাগ এ ব্যাপারে একটু তৎপর হয়ে যত দ্রুত সম্ভব প্রবীণদের মর্যাদা নিশ্চিত করলে প্রবীণরা উপকৃত হবেন। এও বলব, বর্তমান তরুণরাও এ প্রবীণদের হাতেই পালিত হয়েছেন। তাই সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রবীণদের সম্মান দেওয়া সংশ্লিষ্ট বিভাগের অবশ্য কর্তব্য বলে মনে করি।
বর্তমানে দেশে ষাট-ষাটোর্ধ্ব প্রবীণদের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ। এদের মধ্যে মাত্র ২৭ লাখ ২৩ হাজার জন সরকারিভাবে মাসে ৩০০ টাকা করে ভাতা পান। বাকিদের ভাতা না পাওয়ার বিষয়টি বড়ই দুঃখজনক, যদিও আজকের বাজারে এ ভাতার পরিমাণ অত্যন্ত কম। প্রত্যেক প্রবীণ যাতে মাসিক ভাতা পেতে পারেন সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে এখনই ভাবতে হবে। শুধু তাই নয়, প্রবীণরা যাতে কম মূল্যে চিকিৎসা করাতে পারেন; কম মূল্যে ওষুধ কিনতে পারেন; কম টাকায় হজে যাতে পারেন-এসব দিকও ভাবা জরুরি বলে মনে করি।
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা।

রেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা
রেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার সংবাদ নতুন কিছু নয়। প্রায়ই ঘটে এ ধরনের দুর্ঘটনা। কারণ একটাই, অবৈধ রেল ক্রসিং। দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ রেল ক্রসিংয়ের কারণে বছরে অনেক মানুষ মারা যায়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। অনেক জায়গায় রেল ক্রসিংয়ে প্রহরী থাকে, কিন্তু তার ব্যবস্থাপনা ভালো নয়। আবার কোথাও ভালো ব্যবস্থাপনা আছে, কিন্তু লোক নেই। আবার কোথাও ভালো ব্যবস্থাপনা ও লোক দুটোই আছে, কিন্তু দায়িত্বে অবহেলার কারণে দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ছাড়া জনগণের অসচেতনতা ও অধিক আত্মবিশ্বাস রেল দুর্ঘটনার আরেকটি কারণ। ইদানীং দেখা যায়, রেললাইনে হেঁটে হেঁটে মুঠোফোনে কথা বলার সময়ও অনেকে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
রেল দুর্ঘটনা এড়াতে হলে কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। আর তা হলোÑ রেল ক্রসিংয়ে দায়িত্বশীল লোক নিয়োগ, যথেষ্ট ব্যবস্থাপনা ও জনসচেতনতা। এতে রেল ক্রসিংয়ের দুর্ঘটনা অনেকটাই কমে আসবে। এ ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. আজিনুর রহমান
নীলফামারী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন