পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জঙ্গিবাদের ওপর বই প্রকাশ করেছে বিএনপি
স্টাফ রিপোর্টার : জঙ্গিবাদের ওপর ‘ফাইটিং মিলিট্যান্সি ইন কোয়েস্ট অফ পিস’ নামে একটি বই প্রকাশ করেছে বিএনপি। দলটির হিউম্যান রাইটস সেল এই বইটির প্রকাশক।
গতকাল সোমবার বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে ইংরেজিতে লেখা ৭১ পৃষ্ঠার এই বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই কোনো দলের নয়, কোনো ব্যক্তির নয়, কোনো গোষ্ঠীর নয়। সমগ্র জাতিকে এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। আমরা সব রকমের জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, সব ধরনের ট্যারোরিজমের আমরা বিরুদ্ধে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, মানুষকে বোকা বানানোর জন্য, মানুষকে প্রতারিত না করে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলুন।
পাশাপাশি দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিন, যাতে জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, মুখ খুলে কথা বলতে পারে এবং তার গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো প্রয়োগ করতে পারে।
গ্রেফতার হওয়া সন্দেহভাজন জঙ্গিদের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটি ঘটনাতেও যাদেরকে সন্দেহভাজন জঙ্গি হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের কেউ বেঁচে নেই। প্রত্যেকটাকেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। হয় ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করা হয়েছে অথবা পালাচ্ছিল অথবা পাল্টা আক্রমণ করেছিলো বলে হত্যা করা হয়েছে। একটি না, আপনি একজনকেও বের করতে পারবেন না।
অতিসম্প্রতি র্যাব কয়েকটি অভিযান চালায়। তাদেরকে ধরে বলছে যে এরা পরিকল্পনা করছিল। এখন যে অবস্থা এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, কয়েকদিন আগে দেখলাম পত্রিকায়- ২৮ জন মহিলা তারা একটি বাসায় সম্ভবত তাবলীগের মহিলা ওই সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন, সেখানে তাদেরকে নিয়ে গিয়ে বলা হচ্ছেÑ নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। সরকার এখান থেকে ফায়দা নিতে চায় বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সত্যিকার অর্থেই জঙ্গিবাদকে নির্মূল করার জন্য যদি আপনারা আন্তরিক হোন, তাহলে এর সুষ্ঠু তদন্ত করুন এবং যারা দায়ী তাদের খুঁজে বের করুন। যে কাজটি বিএনপি করেছিল ২০০৫-০৬ সালে সেই বাংলা ভাই সমস্যার সময়ে। আপনারা সেটা করছেন না। রাজনৈতিক ফায়দা নিতে সুবিধা হয়Ñ আপনারা ইচ্ছাকৃতভাবে সেসব কাজ করছেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আজকে জঙ্গিবাদকে ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজনৈতিকভাবে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য এই বিষয়টা যাতে তারা না করতে পারে, সেজন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে। এর একটি মাত্র পথ হচ্ছেÑ সমগ্র জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে, তাদেরকে সচেতন করে, তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। আমরা সবসময় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছি শুধু নয়, আমরা ওদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। ২০০৫ সালে আমরা প্রমাণ করেছি, আমাদের সরকার তাদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় নিয়ে এসেছিল।
বর্তমান সরকারের আমলে ‘জঙ্গিবাদ’ বেড়েছে দাবি করে তিনি বলেন, আপনাদের আমলে দেখা যায় যে, নতুন নতুন জঙ্গি সংগঠন সৃষ্টি হচ্ছে, আপনাদের আমলে দেখা যায় যে, ব্লগাররা নিহত হচ্ছে, প্রকাশকরা নিহত হচ্ছে। এর কারণটা কি? আপনারা ওদের প্রশ্রয় দেন, আপনারা তাদের লালন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মামুন আহমেদের সভাপতিত্বে ও শহীদুল ইসলাম বাবুলের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সেলিমা রহমান, শওকত মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি প্রফেসর আফম ইউসুফ হায়দার, দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।