পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অস্থায়ীভাবে ঠেঙ্গার চরে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকারের অবস্থান জানিয়েছেন। গতকাল রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এ ব্রিফিং চলে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, চীন, জাপান, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ফ্রান্স, সুইডেন, ডেনমার্ক, শ্রীলঙ্কা, ব্রুনেই, স্পেন, নেপালসহ প্রায় সব দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকবৃন্দ ছাড়াও জাতিসংঘ, আইএমও, আইএলওসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৬ সালের ২৪ নভেম্বর রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাষ্ট্রদূতদের ব্রিফ করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী এসময় বলেন, বাংলাদেশ সরকার একটি অনিবন্ধিত শিবিরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের হাতিয়া উপজেলার ঠেঙ্গার চরে অস্থায়ী ভিত্তিতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, কক্সবাজারে অনেক বেশি রোহিঙ্গা থাকার কারণে সেখানে আবাসনের সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্যই অস্থায়ীভাবে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের এ প্রক্রিয়া চলছে। এসময় তিনি রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবৈধভাবে বসবাস করছে বলে বিদেশী কূটনীতিকদের অবহিত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মন্ত্রী জানান, বেশিরভাগ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের অবস্থান করার কারণে সেখানকার পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় তাদেরকে ঠেঙ্গার চরে অস্থায়ীভাবে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, এর ফলে রোহিঙ্গাদের বসবাসের সমস্যা কিছুটা হলেও দূর হবে। রোহিঙ্গাদের উন্নত বসবাসের ব্যবস্থা করার জন্য নতুন করে শেল্টার, স্কুল, হসপিটাল, মসজিদ ও অন্যান্য স্থাপনা বানানো হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
বৈঠকে ব্রাজিল, যুক্তরাষ্ট্র, সউদি আরবের রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘ আবাসিক প্রতিনিধি রোহিঙ্গা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। তারা বলেন, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে, তাদের মানবিক সাহায্য দিয়েছে। এসময় সউদি আরবের রাষ্ট্রদূত তার দেশে অবস্থিত রোহিঙ্গাদের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের প্রতি সউদি আরবের সমর্থনের কথা জানান।
কূটনীতিকরা রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য সরকারকে সহায়তা করার বিষয়ে তাদের আগ্রহের কথা বলেন। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর মাধ্যমেই এ সমস্যার সমাধান রয়েছে এবং এ বিষয়ে তারা বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুুত বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে।
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে এখন বেশ সরব আন্তর্জাতিক মহল। এরইমধ্যে কেউ কেউ যাচ্ছেন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও। তাতে কিছুটা আশার আলো দেখছে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা। যার সবশেষ, কফি আনান কমিশন। গেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূতও। কারো কারো মতে, রোহিঙ্গাদের সঠিক পরিসংখ্যান না থাকায় হোচট খাচ্ছে তাদের ফিরিয়ে নেয়ার কাজ। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের হিসাবে, ১৯৭৮ সালে ২ লাখ আর ৯১-৯২ সালে আড়াই লাখ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশে। আর জাতিসংঘের হিসাবে এবার ৬৫ হাজার। তবে বাস্তবতা হল, দেশে বসবাসকারি রোহিঙ্গার সঠিক সংখ্যা জানা নেই কারো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।