পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তাকী মোহাম্মদ জোবায়ের : দেশের সর্ববৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় ‘বিতর্কিত পরিবর্তনে’ হুমকিতে পড়েছে দেশের আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের অনেক ব্যাংকই রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন দেয়া। ইসলামী ব্যাংকের সাম্প্রতিক পরিবর্তন দেশের আর্থিক খাতের জন্য ‘নজির’ হয়ে থাকবে। ভবিষ্যতে ক্ষমতার পটপরিবর্তন হলে এর সুযোগ যে কেউ নেবে যা পুরো আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতার জন্য ভয়াবহ হুমকি। তারা বলছেন, রাজনৈতিক পরিচয় থাকায় ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনা দোষের কিছু নয়- তবে সেটা অবশ্যই ‘সর্বগ্রহণযোগ্য’ উপায়ে হওয়া উচিত ছিল।
এদিকে ব্যাংকটির সাম্প্রতিক পরিবর্তনে মধ্যপ্রাচ্যের শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার ধারাবাহিকতায় ভেস্তে যেতে বসেছে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলারের সউদী বিনিয়োগ। বড় বিনিয়োগ নিয়ে ফেব্রুয়ারি-মার্চে সউদী শীর্ষ ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশ সফরের কথা থাকলেও তা পিছিয়ে গেছে কয়েক মাস। মে নাগাদ তারা বাংলাদেশ সফরে আসতে পারে বলে ইনকিলাবকে জানিয়েছেন শীর্ষ বণিক সংগঠন এফবিসিসিআই’র সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ।
অন্যদিকে ‘বিতর্কিত’ গ্রুপটির হাতে ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ তুলে দেয়া নিয়ে চলছে একের পর এক মিথ্যাচার- বিপরীতমুখী বক্তব্য। অর্থমন্ত্রী একবার বলছেন, বিদেশি উদ্যোক্তাদের চাওয়াতেই ইসলামী ব্যাংকে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর দু’দিন পরেই প্রকাশিত হয়- বিদেশি শেয়ার হোল্ডাররা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না; এ ঘটনায় তারা নাখোশ। এর পরেই অর্থমন্ত্রী পূর্বের বক্তব্য উল্টে বলেন, গভর্নর কেন বিদেশি উদ্যোক্তাদের জানাননি তা তিনি জানতে চেয়েছেন। তবে গতকাল পর্যন্ত এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীকে লিখিত জানাননি ফজলে কবির।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামভিত্তিক একটি গ্রুপ প্লাটিনাম এনডেভার্স, প্যারাডাইস ইন্টারন্যাশনাল, ব্লু ইন্টারন্যাশনাল, এবিসি ভেঞ্চার, গ্রান্ড বিজনেস, এক্সেল ডায়িং অ্যান্ড প্রিন্টিং, হযরত শাহজালাল (র.) ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিটির নামে গত ৭ মাসে প্রায় ৭শ’ কোটি টাকার শেয়ার কেনে। এগুলো ব্যাংকের মোট শেয়ারের ১৪ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। এসব প্রতিষ্ঠানের নামে শেয়ার ধারণের পর গত জুনে এজিএম’এ নতুন পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়। গত ডিসেম্বরে হযরত শাহজালাল (র.) ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিটি সব শেয়ার বিক্রি করে দেয় আরমাডা স্পিনিং মিলের কাছে।
এরপর গত ৫ জানুয়ারি রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত পরিচালনা পরিষদের সভায় ইসলামী ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ে ব্যাপক রদবদল আনা হয়। পুনর্গঠন করা হয় পরিচালনা পরিষদ। চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোস্তফা আনোয়ার ‘স্বেচ্ছায়’ পদত্যাগ করলে নতুন চেয়ারম্যান করা হয় সাবেক সচিব আরাস্তু খানকে। তিনি কমার্স ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান। কমার্স ব্যাংকের ৪০ ভাগ শেয়ার এস আলম গ্রুপ কিনে নেয়ার পর আরাস্তু খানকে চেয়ারম্যান করা হয়। ব্যাংকের নতুন এমডির দায়িত্ব দেয়া হয় ইউনিয়ন ব্যাংকের এমডি মো. আবদুুল হামিদ মিঞাকে। তিনি ইউনিয়ন ব্যাংকের সাবেক এমডি। এই ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে এস আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল আলম। ব্যাংকের কোম্পানি সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের কোম্পানি সচিব জাহিদুল কুদ্দুস মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহকে। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমÑ যিনি এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এরপর পুরো ব্যাংকের ব্যবস্থাপনাতেই পরিবর্তন আনা হয়।
তবে এসব পরিবর্তন ‘সঠিক প্রক্রিয়ায়’ না হলে অর্থনীতির জন্য অমঙ্গল বয়ে আনবে বলে সতর্ক করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি ইনকিলাবের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, “বিষয়টা এখনও আমরা পরিষ্কার জানি না- কি প্রক্রিয়ায় এসব পরিবর্তন এসেছে। যখন এটি প্রকাশিত হবে তখন যদি দেখা যায় যে প্রক্রিয়া ঠিক ছিল, তাহলে সমস্যা নেই। কিন্তু তখন যদি দেখা যায় প্রক্রিয়াটি ঠিক ছিল না- তাহলে এটা অর্থনীতির জন্য মঙ্গলজনক হবে না। এই পরিবর্তন একটা দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়াবে যার সুযোগ ভবিষ্যতে অন্যরা নেবে।”
এদিকে ব্যাংকটির এই পরিবর্তন প্রসঙ্গে গত ২৯ জানুয়ারি অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের চাওয়াতেই ইসলামী ব্যাংকে পরিবর্তন আনা হয়েছে। তবে ৩১ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়, ২৪ জানুয়ারি আইডিবি প্রেসিডেন্ট চিঠি দিয়ে ইসলামী ব্যাংকের পরিবর্তনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গটি সামনে আনলে ২ ফেব্রুয়ারি আবুল মাল আবদুল মুহিত তার পূর্বের বক্তব্য পাল্টে ফেলেন। বলেন, “এটা একটা গুরুতর বিষয়। ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদে কিভাবে পরিবর্তন হলো তা গভর্নরের কাছে জানতে চেয়েছি।”
ওই চিঠিতে ইসলামী ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের (আইডিবি) প্রেসিডেন্ট বন্দর এম এইচ হাজ্জাজ লিখেছেন, বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকের ২০ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদে মাত্র দুটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি রয়েছেন। অথচ ব্যাংকটিতে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের পরিমাণ ৫২ শতাংশ। পরিচালনা পর্ষদের অন্য সদস্যের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, স্বতন্ত্র পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি শেয়ারধারীরা মনে করেন, তাঁদের হাত থেকে ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ স্থানীয় বিনিয়োগকারী ও স্বতন্ত্র পরিচালকের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। ইসলামী ব্যাংকে উচ্চপর্যায়ের এই সাম্প্রতিক পরিবর্তন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের না জানিয়ে এবং তাঁদের অমতে করা হয়েছে।
ইসলামী ব্যাংকের বিদেশি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি), জেদ্দা; ফিন্যান্স হাউস, কুয়েত; জর্ডান ইসলামিক ব্যাংক; ইসলামিক ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড করপোরেশন, দোহা; ইসলামিক ব্যাংক, বাহরাইন; ইসলামিক ব্যাংকিং সিস্টেম ইন্টারন্যাশনাল হোল্ডিং, লুক্সেমবার্গ; আল-রাজি কোম্পানি, সউদী আরব; শেখ আহমেদ সালেহ জামজুম, জেদ্দা; প্রয়াত ফুয়াদ আবদুল হামিদ আল-খতিব, সউদী আরব; দুবাই ইসলামিক ব্যাংক; পাবলিক ইনস্টিটিউট ফর সোশ্যাল সিকিউরিটি, কুয়েত; মিনিস্ট্রি অব জাস্টিস, কুয়েত এবং মিনিস্ট্রি অব আওকাফ অ্যান্ড ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স, কুয়েত।
আইডিবি প্রেসিডেন্টের চিঠির ভাষ্য অনুযায়ী, এসব প্রতিষ্ঠানের হাতে ব্যাংকটির অর্ধেকের বেশি শেয়ার থাকার পরও তাদের না জানিয়ে ও অমতে বর্তমানে প্রতিটি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তারা যাতে ব্যাংকের বোর্ড মিটিংয়ে উপস্থিত হতে না পারেন সেজন্য অল্প সময়ের নোটিশে সভা ডাকা হচ্ছেÑ যা উল্লেখ করা হয় ওই চিঠিতে।
আইডিবি’র চিঠি প্রসঙ্গে শীর্ষ বণিক সংগঠন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মাতলুব আহমাদ ইনকিলাবকে বলেন, “ব্যাংক একটি নীতিমালার আলোকে চলে। এখন কোন বোর্ড সদস্য যদি বলেÑ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আমি অন্ধকারে ছিলামÑ এটা আমার কাছে দৃষ্টিকটু মনে হয়। তাদের দাবি যদি সঠিক হয় তবে আমি বলব, এ ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্ক হওয়া দরকার ছিল। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই তাদের জানানো উচিত।”
ইসলামী ব্যাংকের পরিবর্তন নিয়ে ক্ষোভের জেরে ভেস্তে যেতে বসেছে ৭ বিলিয়ন ডলারের সউদী বিনিয়োগ। চলতি মাসে ও আগামী মাসে সউদী আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তম কোম্পানি আল রাজি থেকে শুরু করে শীর্ষ ব্যবসায়ী গ্রুপ আল জামিল, আল বাওয়ানি, আল ফানারসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যক্তিদের বাংলাদেশ সফরের কথা ছিল। আসার কথা ছিল সউদী তথ্যমন্ত্রী ও সর্ববৃহৎ বণিক সংগঠন জেদ্দা চেম্বারের প্রতিনিধি দলের। তবে ইসলামী ব্যাংকে মধ্যপ্রাচ্যের বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়ায় থমকে গেছে সউদী আরবের বাংলাদেশে নতুন বিনিয়োগ। এ মাসে আর তারা আসছেন নাÑ আসতে পারেন মে মাসে।
এ প্রসঙ্গে এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ ইনকিলাবকে বলেন, “তারা রমজানের আগে আসবে বলে আশা করছি।” আগামী ২৭ মে রমজান মাস শুরু হচ্ছে। “তবে ইসলামী ব্যাংকের এই ঘটনা সউদী আরবের সামগ্রিক বিনিয়োগে কোনো প্রভাব ফেলবে না,” বলেন মাতলুব।
ইসলামী ব্যাংকের পরিবর্তনের বিষয়ে সউদী উদ্যোক্তারা এখন পর্যন্ত কোনো রিএকশন দেখায়নি বলে ইনকিলাবকে বলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী পরিচালক নভাস চন্দ্র মন্ডল। তিনি বলেন, “এর প্রতিক্রিয়া কি হবে সেটা অর্থনীতিবিদরা ভালো বলতে পারবেন। তবে আমার মনে হয় না ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের কারণে তারা বিনিয়োগ থেকে সরে আসবে।”
এদিকে ইসলামী ব্যাংকের সাম্প্রতিক পরিবর্তনে দল-মত নির্বিশেষে কেউই সন্তুষ্ট নন। তারা ইনকিলাবকে জানান, চট্টগ্রামভিত্তিক গ্রুপটির হাতে ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ তুলে দেয়ার জন্য অনেক কিছুই করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এক গভর্নর ইনকিলাবের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, “ইসলামী ব্যাংকের মালিকানা এস আলমের হাতে তুলে দেয়ার জন্যই রিজার্ভ চুরির ঘটনার সুযোগ নিয়ে সাবেক গভর্নরকে চাপে ফেলে সরিয়ে দেয়া হয়। কারণ, ইসলামী ব্যাংকের মালিকানা পরিবর্তনের প্রক্রিয়া আগে থেকেই চলছিল। কিন্তু সদ্য বিদায়ী গভর্নরের কারণে সেই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছিল না।”
এই বক্তব্য বর্তমান গভর্নর ফজলে কবিরের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সামনে উত্থাপন করলে তিনি বলেন, “সাবেক গভর্নরইতো সাইফুল আলমকে সব ফাঁক-ফোকর দেখিয়ে দিয়েছেনÑ কীভাবে ব্যাংকটি দখল করতে হবে। আর এখন উনি বড় বড় কথা বলছেন!”
এসব কথোপকথনের অডিও রেকর্ড ইনকিলাবের হাতে রয়েছে।
ইসলামী ব্যাংককে দীর্ঘদিন ধরে খুব কাছ থেকে দেখেছেনÑ বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন একজন মহাব্যবস্থাপক, যিনি অফিসার্স কাউন্সিলের আওয়ামী সমর্থিত নীল দলের নির্বাচিত নেতা ছিলেনÑ ইসলামী ব্যাংকের পরিবর্তন নিয়ে ইনকিলাব প্রতিবেদকের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মোটামুটি সবগুলো ব্যাংক নিয়েই আমি কাজ করেছি। কিন্তু ইসলামী ব্যাংকের মতো স্বচ্ছ ব্যাংক আমি একটিও পাইনি। ব্যাংকটি দেশের অর্থনীতির ভিত্তি। কিন্তু ব্যাংকটিকে এমন একটি গ্রুপের হাতে তুলে দেয়া হলোÑ যে গ্রুপটি দেশের অর্থনীতির জন্যই হুমকি।”
আরেক নির্বাহী পরিচালক, যিনিও আওয়ামী সমর্থক হিসেবে পরিচিতÑ ইনকিলাবের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, “আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণকালে দেখেছি, অনেকে বাংলাদেশকে চেনে না কিন্তু ইসলামী ব্যাংককে চেনে। ইসলামী ব্যাংকের মতো একটি আন্তর্জাতিক ব্যাংকের এই পরিণতি দুঃখজনক। নতুন যারা দায়িত্ব নিয়েছেন, তারা ব্যাংকটির উন্নতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে ভালো। আর তা না পারলে পুরো অর্থনীতির জন্যই খারাপ ফল বয়ে আনবে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে একই ধরনের মন্তব্য পাওয়া গেছে যেগুলোর রেকর্ড ইনকিলাবের হাতে রয়েছে।
এতকিছুর পরও দেশের সবচেয়ে বড় এই ব্যাংকটির পরিবর্তন দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনুক, এমন প্রত্যাশা করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, ইসলামী ব্যাংকের পরিবর্তন ইতিবাচক উদ্দেশ্যেই। তবে প্রক্রিয়াটা ‘ভুল’ হলেও ফল ভালো হোক-এটাই প্রত্যাশা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।