পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তা স্থগিত করে আদালতের নির্দেশনার বিরুদ্ধে করা একটি আপিল খারিজ করে দিয়েছে দেশটির আদালত। গত শনিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নাইন্থ সার্কিট আপিল কোর্ট এ আদেশ দেয়। ফলে এ সংক্রান্ত সম্পূর্ণ শুনানি না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশনা জারি থাকবে।
আপিল খারিজ করে দিয়ে আদালত হোয়াইট হাউজকে এবং বিভিন্ন প্রদেশের আইনজীবীদের আরও বেশি যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের জন্য আজ (সোমবার) পর্যন্ত সময় দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রদেশের আইনজীবীরা বলছেন, সাতটি দেশের নাগরিকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি পুরোপুরি অসাংবিধানিক।
তবে জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট নিজেদের যুক্তি তুলে ধরে বলেছে, ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করার কোনও এখতিয়ার প্রদেশগুলোর নেই। আর জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি সংক্রান্ত প্রেসিডেন্টের কোনও সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলার কোনও অধিকার তাদের নেই।
ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আদালতের ওই নির্দেশনার পর সাতটি মুসলিমপ্রধান দেশের অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন।
মুসলিমপ্রধান সাত দেশের নাগরিকদের প্রবেশ নিয়ে ট্রাম্পের আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত করার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছিলেন, এ ধরনের আইনি রুলিংয়ের কারণে যুক্তরাষ্ট্র খারাপ ও বিপজ্জনক মানুষে ভরে যেতে পারে।
এরপরেই দেশটির বিচার বিভাগ আনুষ্ঠানিকভাবে জানায় যে, মিস্টার ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা স্থগিতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে।
এর আগে মিস্টার ট্রাম্প টুইটারে জানিয়েছিলেন, তথাকথিত বিচারক আইনের প্রয়োগ স্থগিত করেছে। তিনি তখন এটাও জানিয়ে দেন যে, আদালতের এই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হবে। ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা হবে। সূত্র : বিবিসি।
ট্রাম্পের আপিল খারিজ
আমেরিকা যাওয়ার তাড়াহুড়ো শুরু
এদিকে সিয়াটলের মার্কিন ডিস্ট্রিক্ট বিচারক জেমস রবার্ট প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে সাময়িকভাবে স্থগিতাদেশ দেয়ার পরই ফের আমেরিকা যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছেন ওই সব দেশগুলোর শরণার্থীরা। বিশেষ করে যাদের হাতে ইতোমধ্যে আমেরিকার ভিসা বা গ্রিন কার্ড রয়েছে। কারণ প্রত্যেকেই জানেন, খুব অল্প সময় পাওয়া যাবে মার্কিন মুলুকে প্রবেশ করার জন্য। এরপর হয়তো ‘এমার্জেন্সি অর্ডার’ এনে প্রেসিডেন্টের নির্দেশ ফের কার্যকর করা হতে পারে আমেরিকায়।
মিশিগানের আরব-আমেরিকান সিভিল রাইটস লিগের ডিরেক্টর রুলা আউন বলেন, ‘আমরা প্রত্যেককে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমেরিকায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে চলেছি। যাদের হাতে ভিসা রয়েছে তাদের উচিত যত শিগগির পারা যায় আমেরিকার বিমানে উঠে পড়া’। তবে কিছু ক্ষেত্রে কয়েকটি পরিবারকে যে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে সেটাও মেনে নেন তিনি। যেমনটা হয়েছে এক ইয়েমেনি পরিবারের সঙ্গে। চার শিশুর মধ্যে দু’জনকে মিসরে আত্মীয়দের কাছে রেখেই আমেরিকায় চলে আসতে হয়েছে তাদের। কারণ বাবা ও দুই সন্তান আমেরিকার বাসিন্দা হলেও মায়ের অভিবাসন ভিসা ছিল। সেক্ষেত্রে পরে তার আটকে পড়ার সম্ভাবনাও পুরোদস্তুর ছিল।
মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, ট্রাম্পের ঘোষণায় প্রায় ৬০ হাজার বিদেশির ভিসা সাময়িকভাবে রদ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে গ্রিন কার্ডধারীদেরও একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হলেও গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসের বিবৃতির পর ছাড় পেয়েছেন তারা। ওদিকে ট্রাম্পের ঘোষণায় সাময়িক স্থগিতাদেশ দিলেও অনেক বিমান সংস্থা রয়েছে, যারা ওই সাত দেশের মানুষদের আমেরিকাগামী বিমানে উঠতে দিচ্ছেন না। শনিবার থেকে এরকম বেশ কয়েকটি ঘটনাও সামনে এসেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।