পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : চুরি যাওয়া রিজার্ভের এক-পঞ্চমাংশ উদ্ধারের পর বাকি অর্থ ফেরত আনতে ‘নতুন উপায় খোঁজা’র কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ফিলিপিন্সের রিজল ব্যাংকের অস্বীকৃতিতে মামলার হুমকি দিলেও সে পথে না গিয়ে গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
মুহিত হতাশ কণ্ঠে বলেন, ‘এক বছর তো হয়ে গেল। আমরা এখনো টাকা পেলাম না। এটা নিয়ে আমরা নিজেরা আলোচনা করছি। বাকি টাকা কিভাবে আনা যায়, তা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অভিমত চাওয়া হয়েছে। কী করব, সেটা নিয়ে আমরা নিজেরা আলোচনা করতে চাই। আমাদের মধ্যে আলোচনা চলছে’।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভুয়া সুইফট বার্তা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অফ নিউ ইয়র্কে রাখা বাংলাদেশের রিজার্ভের আট কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপিন্সের রিজল ব্যাংকে পাঠানো হয়েছিল। ওই অর্থ পরে জুয়ার টেবিলে চলে যায়।
বিশ্বজুড়ে তোলপাড়ের মধ্যে ফিলিপিন্সের সিনেট কমিটি এই ঘটনার তদন্ত শুরুর পর এক ক্যাসিনো মালিকের কাছ থেকে দেড় কোটি ডলার উদ্ধারের পর তা ফেরত পায় বাংলাদেশ। আরো দুই কোটি ৭০ লাখ ডলার ফিলিপিন্স জব্দ করেছে।
এই অর্থ উদ্ধারে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল গত বছরের শেষ দিকে ফিলিপিন্স সফর করে। অর্থ ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসা ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে ‘জরুরি কারণ’ দেখিয়ে সফররত বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক না করলেও ফিরে এসেও আশার কথাই বলেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
এরপর রিজল ব্যাংক অর্থ চুরির দায় নিতে অস্বীকৃতি জানানোর পর ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কের বিরুদ্ধে মামলার চিন্তা করার কথা জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী মুহিত। তবে নিউ ইয়র্ক ফেড শুরুতেই এই ঘটনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটিকে দায়ী করে বলে, তাদের দিকে নিরাপত্তায় কোনো ত্রুটি ছিল না।
বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলা এই সাইবার চুরির ঘটনায় সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটি অর্থমন্ত্রীর কাছে ছয় মাসের বেশি সময় আগে প্রতিবেদন জমা দিলেও এ পর্যন্ত কয়েকদফা ঘোষণা দিয়ে তা প্রকাশ করেননি অর্থমন্ত্রী।
এর মধ্যে রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তার গাফিলতি রয়েছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে তদন্তকারী বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হলে প্রতিবেদনটি চেয়ে পাঠায় ফিলিপিন্স সরকার। তবে এই প্রতিবেদন তাদেরকে দিতে অস্বীকার করে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের বক্তব্য হচ্ছে, পুরো ঘটনায় বাংলাদেশের কারো কারো অবহেলা থাকলেও চুরির টাকা যাদের কাছে আছে, তাদেরকে টাকা ফেরত দিতেই হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।