পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720417616](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশে এক সপ্তাহ সময় দিলেন আপিল বিভাগ। গতকাল রোববার রাষ্ট্রের পক্ষের দুই সপ্তাহের সময় আবেদন পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ সময় দেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের দুই সপ্তাহের সময়ের আবেদনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ক’দিন আগে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। উনি বলেছেন এক সপ্তাহের মধ্যেই হয়ে যাবে। তাহলে দুই সপ্তাহ সময় কেন চাচ্ছেন? আদালত আরো বলেন, শেষবারের মতো সময় দিচ্ছি। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেলের মাহবুবে আলম। এর গত ১৫ জানুয়ারি তিন সপ্তাহ সময় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। এর আগে ও কয়েকবার সময় দেয়া হয়।
মাসদার হোসেন মামলার চূড়ান্ত শুনানি করে ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে আলাদা করতে ঐতিহাসিক এক রায় দেয়। ওই রায়ে আপিল বিভাগ বিসিএস ক্যাডারকে সংবিধান পরিপন্থী ও বাতিল ঘোষণা করে। একই সঙ্গে জুডিশিয়াল সার্ভিসকে স্বতন্ত্র সার্ভিস ঘোষণা করা হয়। বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করার জন্য সরকারকে ১২ দফা নির্দেশনা দেয় সর্বোচ্চ আদালত। ওই মামলার রায়ের পর ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হয়ে বিচার বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়। আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর গত বছরের আইন মন্ত্রণালয় নি¤œ আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার একটি খসড়া প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়।
সরকারের খসড়াটি ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী বিধিমালার অনুরূপ হওয়ায় তা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী বলে গত ২৮ আগস্ট শুনানিতে জানায় আপিল বিভাগ। এরপর ওই খসড়া সংশোধন করে সুপ্রিমকোর্ট আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।
এরপর দফায় দফায় সময় দেয়ার পরও ওই বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ না করায় গত ৮ ডিসেম্বর দুই সচিবকে তলব করে আপিল বিভাগ। দুই সচিবের হাজিরার আগে ১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আইন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে একটি নোটিসে বলা হয়, নিম্ন আদালতের বিচারকদের বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা নেই বলে প্রেসিডেন্ট ‘সিদ্ধান্ত’ দিয়েছেন।
আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব পরদিন আদালতের তলবে হাজির হলে প্রধান বিচারপতি বলেন, বিধিমালা নিয়ে প্রেসিডেন্টকে ভুল বোঝানো হয়েছে। সেদিন শুনানি করে গেজেট প্রকাশের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেন। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল এক মাস সময় চেয়ে আবেদন করেন। পরবর্তীতে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেন। কিন্তু গতকাল ফের এক সপ্তাহ সময় দিলেন আদালত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।