পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সৌমিত্র চক্রবর্তী, সীতাকুন্ড থেকে : সীতাকুন্ডের মুরাদপুর সাগর উপকূলে একটি মাঝারি আকৃতির বন্দর স্থাপন করা সম্ভব। এ আকৃতির বন্দর করা হলে ৬-৭টি জেটিতে লাইটারেজ জাহাজ রাখা যাবে।
ইকোনোমিক জোনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এতে সবদিক থেকেই লাভবান হওয়া যাবে। সবচেয়ে সুলভ হবে পরিবহন ব্যবস্থা। খুব কম খরচে এ বন্দর থেকে পণ্য আমদানি রফতানি করা যাবে। অন্যদিকে এ বন্দর করতে পারলে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি শতকরা এক ভাগ-যোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত শনিবার সীতাকু-ে বন্দরস্থাপনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়াল অ্যাডমিরাল খালেদ ইকবাল এসব কথা বলেন।
তিনি এদিন সীতাকু-ের বাড়বকু- ও মুরাদপুর সাগর উপকূল পরিদর্শন করেন। এ দুটি এলাকা ঘুরে মুরাদপুরে বন্দর স্থাপনের সম্ভাবনা উজ্জ্বল বলে জানান তিনি। কারণ, বঙ্গোপসাগরের সীতাকু--সন্দ্বীপ চ্যানেলের মুরাদপুর অংশ বেশ গভীর। এ অংশ দিয়ে অনায়াসে লাইটারেজ জাহাজ আসা যাওয়া করতে পারবে। এসব সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে বন্দর চেয়ারম্যান অ্যাডমিরাল খালেদ ইকবাল সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি পরিকল্পনা রিপোর্ট পেশ করবেন বলে জানিয়েছেন পরিদর্শনকালে বন্দর চেয়ারম্যানের সাথে থাকা সীতাকু- উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল ইসলাম ভূইয়া। এখানে বন্দর স্থাপনের উজ্জ্বল সম্ভাবনার কথা জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, শনিবার বন্দর চেয়ারম্যান এলাকাটি পরিদর্শন করলেও এর আগে থেকেই তারা এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। এখন তিনি সরেজমিনে দেখে যে সম্ভাবনা দেখলেন তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর অনুমোদন পেলেই এখানে নতুন বন্দর স্থাপনের কাজ শুরু হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দর ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নৈকট্যের কারণে সীতাকু- অর্থনৈতিক জোনের সম্ভাবনা দারুণ। এর সাথে এখানে বন্দর স্থাপনের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে শুধু চট্টগ্রাম নয়, সারাদেশের অর্থনীতির চিত্রই বদলে যাবে। এমন সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই সম্প্রতি সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল সীতাকু- বন্দর ও অর্থনৈতিক জোন গড়তে জোর উদ্দ্যোগ নিয়েছেন। সেই উদ্দ্যোগের ধারাবাহিকতায় ইতোপূর্বে মুরাদপুর উপকূলীয় এলাকার সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে এবং গত শনিবার চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান সেখানে সরেজমিনে পরিদর্শন করলেন। তার এই পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে এখানে বন্দর স্থাপনের উদ্দ্যোগ একধাপ এগিয়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিন মুরাদপুর এলাকা পরিদর্শন করেছেন সীতাকু-ের সাংসদ আলহাজ দিদারুল আলমও। তিনি বলেন, এখানে বন্দর হলে সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। বদলে যাবে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ সারাদেশের অর্থনীতি। মুরাদপুর এলাকায় বন্দর স্থাপন করতে চাইলে বন্দর কতৃপক্ষকে যাবতীয় সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন। বন্দরের প্রস্তাবিত জায়গা পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন কমোডোর জুলফিকার আজিজ, কমোডোর শাহীন রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম ভূইয়া, চট্টগ্রাম চেম্বার পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, পরিচালক পরিবহন গোলাম সরওয়ার, নাজমুল হক যান্ত্রিক চট্টগ্রাম বন্দর, চিফ হাইড্রোগ্রাফার কমান্ডার মনজুরুল করিম চৌধুরী, চিফ ইঞ্জি. মাহমুদুল হক চৌধুরী, স্ট্যাট ম্যানেজার জিল্লুর রহমান, টার্মিনাল ম্যানেজার সরওয়ার ইসলাম, সচিব মো.ওমর ফারুক। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল বাকের ভূইয়া, স্থানীয় চেয়ারম্যান জাহেদ হোসেন নিজামী বাবু, ইউপি মেম্বার মো.ইছাক, আবুল কালাম আজাদ, আজাহার, মো.আমজাদ হোসেনসহ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।