Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সঙ্ঘাতমুক্ত কাশ্মির প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘকে এগিয়ে আসতে হবে

কাশ্মিরে মানবাধিকার ইস্যু শীর্ষক গোলটেবিল

| প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : কাশ্মিরের অধিবাসীদের নিজ সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার রয়েছে। তাদের এ অধিকার লঙ্ঘনের কোনো সুযোগ ভারতের থাকতে পারে না। কাশ্মিরের সঙ্ঘাত দক্ষিণ এশিয়ার মানবাধিকার লঙ্ঘনের অন্যতম কারণ এবং এটি হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ও দুর্দশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সার্ককে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাশ্মির সমস্যার সমাধানে জাতিসংঘকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। ‘কাশ্মিরে মানবাধিকার ইস্যু : যুবসমাজের ভাবনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা একথা বলেন। সাউথ এশিয়া ইয়ুথ ফর পিস অ্যান্ড প্রসপারিটি সোসাইটি এসএওয়াইপিপিএস ঢাকার এসএওয়াইপিপিএস সেন্টারে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
এসএওয়াইপিপিএস’র চেয়ারম্যান এন এম সাজ্জাদুল হক এতে সভাপতিত্ব করেন। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. দিলারা ইসলাম এবং অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক মো. সাইফ। এ ছাড়াও বৈঠকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা বক্তব্য রাখেন।  
ড. দিলারা ইসলাম বলেন, ভারতের উচিত অনতিবিলম্বে আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্টের অধীনে সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক কাশ্মিরে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করা। সংশ্লিষ্ট সরকার এবং রাজনীতিবিদদের উচিত এমন একটি সমাধান খুঁজে বের করা, যা কাশ্মিরের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং মানবাধিকার সংরক্ষণ করবে। ভারত ও পাকিস্তানকে কাশ্মির সমস্যার সমাধানে একযোগে কাজ করতে হবে এবং ভারতীয় প্রশাসনকে বুলেট ব্যবহার বন্ধ করতে হবে, যা কিনা কাশ্মিরীদের অন্ধ করে দিচ্ছে।
মো. সাইফ বলেন, ১৯৬৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ছিল কাশ্মিরের অধিবাসীদের জন্য অত্যন্ত শোকাবহ একটি দিন। কাশ্মিরকে ভারতের একটি প্রদেশ এবং ভারতীয় ইউনিয়নের একটি অখ- অংশ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে বিল পাসের কারণে ১৯৬৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ভারতের জন্য একটি অত্যন্ত লজ্জাজনক দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।   
এসএওয়াইপিপিএসর গবেষক জুনাইদ আল মামুন বলেন, ১৯৮৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এক লাখের বেশি নিরীহ কাশ্মিরী প্রাণ হারিয়েছেন; ছয় হাজার ৯৬৯ জনের অধিককে জেলহাজতে হত্যা করা হয়েছে; গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় দুই লাখ কাশ্মিরীকে এবং লক্ষাধিক বাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী বর্বরোচিতভাবে এক লাখ সাত হাজার ৩৫১ জন শিশুকে পিতৃহীন করেছে, বিধবা করেছে ২২ হাজার ৭২৮ জনের অধিক নারীকে এবং গণধর্ষণ করেছে প্রায় ১০ হাজার নারীকে। এসব মৃত্যু এবং নির্যাতন বন্ধের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সুশীল সমাজ এবং জাতিসংঘের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
গবেষক এ কে এম যায়েদ উদ্দিন বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কাশ্মিরে নির্বিচার হত্যাকা-, গুম, নির্যাতন ইত্যাদি মানবাধিকার লঙ্ঘনমূলক কাজের জন্য ভারতকে দায়ী করে নিন্দা জানিয়েছে।
এসএওয়াইপিপিএস’র গবেষক হাসান আল মাহমুদ বলেন, কাশ্মিরের অধিবাসীদের নিজ নিজ সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার রয়েছে। তাদের এ অধিকার লঙ্ঘনের কোনো সুযোগ ভারতের থাকতে পারে না।
অন্যান্য বক্তারা কাশ্মিরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দ্রুত সমাপ্তি ও সমাধান দাবি করে বক্তব্য রাখেন। মানবাধিকার সংরক্ষণের তাগিদে তারা জাতিসংঘকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ