পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ভারত সম্পূর্ণ গায়ের জোরে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তকে অবজ্ঞা করে কাশ্মিরের স্বাধীনতাকামী মানুষের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালাচ্ছে। তারা সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে দীর্ঘদিন ধরে।
বিশ্বের শান্তিকামী মানুষদের উচিত কাশ্মিরের জনগণের পাশে এসে দাঁড়ানো। গতকাল ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাই-কমিশনে কাশ্মির সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সফররত পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মুহাম্মদ বালিগ-উর রেহমান এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয় এবং ঢাকাস্থ পাক হাই-কমিশনার রাফিউজ্জামান সিদ্দিকী বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত, ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেড ক্রস অ্যান্ড ক্রিসেন্টের (আইসিআরসি) প্রতিনিধি এবং সউদী আরব ও তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, কাশ্মিরে ভয়াবহভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে ভারত। সেখানে নির্বিচারে কাশ্মিরের স্বাধীনতাকামী মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। নারী ও শিশুরাও ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কাশ্মিরীদের দমনের নামে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী বর্বর কমকা- চালাচ্ছে। ভারত জাতিসংঘের প্রস্তাবনাকে অবজ্ঞা করছে। জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুসারে জম্মু ও কাশ্মির বিরোধের নিষ্পত্তি করা না হলে এই অঞ্চলে শান্তির সম্ভাবনা দূরাশা হয়ে থাকবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সাল থেকে ভারতের দখলকৃত কাশ্মিরের জনগণের মুক্তি সংগ্রামের প্রতি একাত্মতা ও সংহতি প্রকাশ করতে প্রতি বছর ৫ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানসহ সারা বিশ্বে কাশ্মির সলিডারিটি ডে বা কাশ্মির সংহতি দিবস পালিত হয়। দিবসটি পালন উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলোচনাসভা, সেমিনার, র্যালি ও শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।