পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক রোগীর স্বজনদের সঙ্গে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ঝামেলার জেরে বড় ধরনের গোলমাল হতে পারতো। কিন্তু বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তৎপরতায় মিটে গেছে সমস্যা।
ঢামেক সূত্রে জানা গেছে, গতরাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন একটি শিশুর স্বজনদের সঙ্গে কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. কাঁকন ও একজন মেডিক্যাল অফিসারের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে ঝামেলা হয়। এসময় স্বজনেরা উত্তেজিত হয়ে একটি কাঁচের দেয়ালে আঘাত করলে তা ভেঙে গিয়ে ডা. কাঁকনের হাত কেটে যায়। তিনি বিষয়টি সহকর্মীদের জানালে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ক্ষুব্ধ হয়ে জরুরি বিভাগের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেন। তবে তার আগেই শিশুটিকে রেখে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান স্বজনেরা।
পরে বিএমএ’র সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও ঢামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক খাজা আব্দুল গফুর ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। আধা ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রধান ফটক খুলে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে খাজা আব্দুল গফুর বলেন, ‘একটু ঝামেলা হয়েছিল। আমরা মিটমাট করে দিয়েছি।’
ঢামেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইফাজ সামি জানান, তারা কর্তৃপক্ষের কাছে হাসপাতালের ভেতরে নিরাপত্তা দাবি করেছেন। কর্তৃপক্ষ তাদের এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ঢামেক পুলিশ বক্সের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘২০৫ নম্বর ওয়ার্ডে এক শিশু পায়ে সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছে। সন্ধ্যায় তাকে জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সে সময় শিশুটির ৪-৫ জন স্বজন জরুরি বিভাগে ভিড় করলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের চলে যেতে বলেন। এ নিয়ে চিকিৎসক, স্টাফ ও স্বজনদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হলে জরুরি বিভাগের কাঁচের দেয়াল ভেঙে যায়। তবে কিছুক্ষণ পরই সব ঠিক হয়ে যায়। এখন কোনও সমস্যা নেই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।