Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মূর্তি অপসারণের দাবীতে খেলাফত মজলিসের মাসব্যাপী কর্মসূচি

ন্যায়দন্ডের প্রতীক নয় মূর্তি

| প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাল রিপোর্টার : সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে মূর্তি অপসারণের দাবীতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সারাদেশে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে মাসব্যাপী গণসংযোগসহ ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। গতকাল সকালে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় সম্পাদকম-লীর বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় উল্লেখিত গণসংযোগ কর্মসূচি ১১ ফেব্রুয়াারি বিকেল ৩ টায় পুরানা পল্টন সুরমা টাওয়ারের সামনে উদ্বোধন করবেন আমীরে মজলিস প্রিন্সিপাল হাবীবুর রহমান। গণসংযোগ চলাকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ ও আলেম, মাদরাসার প্রিন্সিপাল, মসজিদের খতিব, সাংবাদিক শিক্ষাবিদসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতৃবৃন্দ। এছাড়া বিভিন্ন মসজিদে মুসল্লিদের উদ্দেশে এবং বিভিন্ন মাহফিলের মাধ্যমেও জনগণের সামনে মূর্তির বিষয়টি তুলে ধরা হবে।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হকের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কোরবান আলী কাসেমী, অফিস ও বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, সহকারী প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশীদ ভূঁইয়া, নির্বাহী সদস্য মুহাম্মদ শাহাবুদ্দীন, মাওলানা নিয়ামতুল্লাহ, মাওলানা মুখলিসুর রহমান কাসেমী, ঢাকা মহানগরী সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মূসা প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মাহফুজুল হক ইমাম-খতিব ও ওয়াজিনদেরকে মূর্তির বিষয়টি সম্পর্কে কুরআনের, হাদিসের নির্দেশনা জনগণের সামনে উপস্থাপনের ও আন্দোলন গড়ে তোলার উদাত্ত আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, মূর্তি ঈমানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কোনো ঈমানদার মূর্তিকে মেনে নিতে পারে না। সুতরাং সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে মূর্তি অপসারণ করতে হবে।
নেজামে ইসলাম পার্টি
ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মাওলানা মু. শওকত আমীন পীর সাহেব বি-বাড়ীয়া বলেন, স্বাধীনতার মহানায়ক শেখ মুজিব যে বাংলাদেশকে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র ঘোষণা করেছিলেন, সেই দেশের সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে নগ্ন গ্রীক নারী মূর্তির অবস্থান একটি অকল্পনীয় ব্যাপার। মহান আল্লাহ সূরা আর রহমানের প্রথম দিকে বলেন, “আমি আসমানকে সমুন্নত করেছি এবং ন্যায়দ- স্থাপন করেছি”। নগ্ন গ্রীক নারী দেবী থেমিসের মূর্তি কখনই মুসলমানদের ন্যায়দ-ের প্রতীক হতে পারে না। বিশ্বনবী (সা.) বলেন, আমি সকল মূর্তি ও বাদ্যযন্ত্র সমূহকে ধ্বংস করার জন্য প্রেরিত হয়েছি। এদেশবাসী কোন বিদেশি সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী নয়। তাই গ্রীক নগ্ন মূর্তির সংস্কৃতি ও ভারতের নগ্ন টিভির সংস্কৃতিসহ কোন অপসংস্কৃতিই এদেশে চলতে দেয়া হবে না। তিনি মূর্তি অপসারণসহ সকল অপসংস্কৃতি বন্ধ করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ