Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনির উত্তোলন কাজ শিঘ্রই শুরু

কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা

| প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

দিনাজপুর অফিস : সাময়িক কর্মবিরতির পর দেশের একমাত্র পাথর খনি মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনিতে কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। কাজ দ্রুত করার লক্ষ্যে খনির দ্বিতীয় শিফটের উন্নয়ন কাজ শুরু করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া ট্রাস্ট কনসোর্টিয়াম।
দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মাহমুদ খান জানান, দেশের একমাত্র পাথর খনিতে সাময়িক বিরতির পর শনিবার সকাল ৬টা থেকে কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। উন্নয়ন কাজ প্রায় ৭০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।
মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসির একটি সূত্রে জানা গেছে, মধ্যপাড়া পাথর খনির উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে খনির ভূ-গর্ভে নতুন স্টোপ (শিলা উৎপাদন ইউনিট) নির্মাণসহ খনির উন্নয়নে বিভিন্ন দেশ থেকে বিশ্বমানের অত্যাধুনিক মেশিনারিজ ও যন্ত্রাংশ আমদানি করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে এসব মেশিনারিজ ও যন্ত্রাংশ সংগ্রহ এবং আমদানি প্রক্রিয়ায় সময় ক্ষেপণ হওয়ায় খনির উন্নয়ন কাজে বিঘœ ঘটে। ফলে গত কয়েক মাসে খনির কার্যক্রম চালাতে জিটিসিকে লোকসান গুনতে হয় কোটি কোটি টাকা। সূত্রটি আরো জানায়, ইতোমধ্যে প্রায় সকল মেশিনপত্র ও যন্ত্রাংশ খনিতে এসে পৌঁছেছে। খনি থেকে পাথর উত্তোলনের জন্য উন্নয়ন কাজ অতি অল্প সময়ে শেষ করার লক্ষ্যে দুই শিফটে কাজ শুরু করা হয়েছে খনির ভূ-গর্ভে। মধ্যপাড়া জিটিসিতে কর্মরত বিদেশি খনি বিশেষজ্ঞ দল দিন-রাত আধুনিক মেশিনপত্র ভূ-গর্ভস্থে স্থাপনের কাজ করছেন। পুরো উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হলে পর্যায়ক্রমে খনিতে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসবে বলে জিটিসির কর্মকর্তা জানান। পাথর উত্তোলনের কাজ পুরো দমে শুরু হলে সরকারও বিপুল রাজস্ব অর্জনে সক্ষম হবে।
বড়পুকুরিয়ায় কয়লা  উৎপাদন বন্ধ
এদিকে বড়পুকুরিয়ায় কয়লা খনিতে উৎপাদনশীল কোল ফেইস’র (নির্গমন মুখ) মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে গেছে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ার ফলে কয়লা উত্তোলন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি না ঘটলে নতুন করে কোল ফেইস তৈরি করে পুনরায় উৎপাদনে যেতে সময় লাগবে প্রায় দেড় মাস। তিনি জানান, প্রায় ছয় মাস ধরে খনির এক হাজার ২১৪ নম্বর ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন হচ্ছিল। ওই ফেইস থেকে প্রায় ছয় লাখ মে.টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। জানুয়ারির ৩১ তারিখে ওই ফেইসের মজুদ শেষ হয়ে যায়। যার ফলে কয়লা উত্তোলন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কয়লা উত্তোলন পুনরায় শুরু করতে ইতোমধ্যেই ওই ফেইসের যন্ত্রপাতি উত্তোলন করে নতুন এক হাজার ২০৭ নম্বর ফেইস তৈরি করা হচ্ছে। সেখান থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হতে সময় লাগবে প্রায় দেড় মাস। নতুন ফেইসটিতে কয়লার মজুদ রয়েছে পাঁচ থেকে ছয় লাখ মে.টন।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে কোল ইয়ার্ডে প্রায় দুই লাখ মে.টন কয়লা মজুদ রয়েছে। যা দিয়ে পার্শ্ববর্তী কয়লা ভিত্তিক ২৫০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দু’টি ইউনিট প্রায় চার মাস সচল রাখা সম্ভব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ