পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : নগরীর পাহাড়তলী থানার আবাসিক এলাকার একটি ভবন থেকে ‘ইসলামী সমাজ’ নামের একটি সংগঠনের ২৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে নগর গোয়েন্দা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, মৌসুমী আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ২০১১ নম্বর বাড়ির দ্বিতীয় তলায় জামাল উদ্দিনের ভাড়া বাসায় গ্রেফতারকৃতরা গোপন বৈঠকে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল।
গ্রেফতারকৃতরা হলেনÑ মোঃ রুহুল আমিন (৪৫), মোঃ ইউছুপ আলী (৪৬), আমির হোসেন (৫০), জামাল উদ্দিন (৪২), আবু হানিফ হারিজ (৫৩), রফিকুল ইসলাম রুবেল (২৭), আলমগীর হোসেন (৩৫), দিদার হোসেন (৩৫), মো. আনোয়ার (৪৪), শাহ আলম (৪০), রবিউল হোসেন (৩৭), তৌহিদুল ইসলাম (২২), আনোয়ার হোসেন (৪২), আব্দুল ওহাব (৫৪), আব্দুর রব (৪০), মো. ছাদেক (৪২), আবু বক্কর কামাল (৫০), আব্দুর কাদের (২৭), আকবর হোসেন (৪২), সাইফুল ইসলাম (২৬) (ধর্মান্তরিত, আগের নাম কৃষ্ণানন্দ দে), ইব্রাহিম খলিল (২৬), মোবারক আলী (৪৫), আব্দুল হাকিম (৪৫) ও মো. রবিউল (২৮)।
গতকাল (শনিবার) চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) সদরদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) পরিতোষ ঘোষ বলেন, ইসলামী সমাজের সদস্যরা গণতন্ত্র বিরোধী এবং ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠার মতবাদে বিশ্বাসী। ২০০৯ সালে সরকার এ সংগঠনকে কালো তালিকাভুক্ত করে। কম শিক্ষিত লোকজনই তাদের লক্ষ্য। তারা ইসলামের নাম দিয়ে কম শিক্ষিত লোকদের র্যাডিকালাইজ করছে। সংগঠনের সদস্যরা বেশিরভাগ পঞ্চম বা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির কিছু লিফলেট ও বুকলেট উপস্থাপন করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা পরিতোষ ঘোষ বলেন, শুক্রবার রাত সোয়া আটটার দিকে মৌসুমী আবাসিক এলাকায় একটি উগ্রবাদী সংগঠনের গোপন বৈঠকের খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। আটক ২৪ জনই ইসলামী সমাজের সাথে জড়িত। ওই বৈঠকে মিলিত হতে কয়েকজন কুমিল্লা এবং টঙ্গী থেকে এসেছিল। তিন-চারজন একেবারেই নতুন। তারা প্রথমবারের মত এরকম বৈঠকে এসেছে।
অভিযানে থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ইসলামী সমাজের সর্বোচ্চ শীর্ষ পদ ‘আমির’। আঞ্চলিক প্রধান ‘মামুর’ এবং দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনাকারীরা ‘দ্বারা’ পদধারী। সংগঠনটির বর্তমান আমির কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা সৈয়দ হুমায়ূন কবির। রুহুল অমিন চট্টগ্রাম অঞ্চলের মামুরের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া টঙ্গি অঞ্চলের মামুর মো. ইউছুফ আলী।
পুলিশ কর্মকর্তা পরিতোষ ঘোষ বলেন, ইউছুফ আলী জেএমবির সাথে যুক্ত ছিল। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোকজন সংগ্রহ করে তাদের উগ্রবাদী কর্মকান্ডে উদ্বুদ্ধ করতেই এরা কাজ করছে। ১৯৯৭ সালে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০০৯ সালের অক্টোবরে সংগঠনটি কালো তালিকাভুক্ত করা হয় বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানায়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পাহাড়তলী থানায় মামলা করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।