পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা, যশোর : মাত্র দেড় মাসে তদন্ত শেষ করে পুলিশ যশোর উপশহরে চীনা ব্যবসায়ী চ্যাং হিং সং হত্যা মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেছে। অভিযুক্ত করা হয়েছে চীনা ব্যবসায়ীর ব্যক্তিগত সহকারীসহ দু’জনকে। তারা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। অভিযুক্তরা হলেন, নিহত চীনা নাগরিকের ব্যক্তিগত সহকারী নেত্রকোনা সদর উপজেলার চকপাড়া গ্রামের মুজিবর রহমানের ছেলে নাজমুল হাসান পারভেজ (২৬) এবং তার ভাতিজা একই এলাকার রফিকুল আলম বাবুলের ছেলে মুক্তাদির রহমান রাজু (২০)। বৃহস্পতিবার যশোর চিফ জুডিশিয়াল আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যশোর কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ইলিয়াস হোসেন।
অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, আটক দুই আসামি তাদের অপরাধের কথা আদালতে স্বীকার করেছে; যা জবানবন্দি হিসেবে বিচারক রেকর্ড করেছেন। ওসি ইলিয়াস হোসেন জানান, নিহত চীনা নাগরিক যশোরের ঘোপ জেল রোড বেলতলা এলাকার লিয়াকত হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তিনি ইজিবাইকের ব্যাটারি নিজ দেশ থেকে নিয়ে এসে যশোরসহ আশপাশের এলাকায় বিক্রি করতেন। তার গুদাম ছিল উপশহরের মহিলা কলেজের সামনে ২ নম্বর সেক্টরের ৩৪ নম্বর ফরিদা ভিলা নামক বাড়িতে। নাজমুল হাসান পারভেজ নিহতের ব্যক্তিগত সহকারী হওয়ার সুবাদে তার টাকা কোথায় আছে তা সে ভালোভাবে জানত। তার ধারণা ছিল দুই লাখ টাকার একটি চেক নেবে এবং বাজারের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পাওনা ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ভারতে চলে যাবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী পারভেজ ঘটনার মাস দুইয়েক আগে তার ভাতিজা রাজুকে যশোরে নিয়ে আসে। ১৪ ডিসেম্বর বেলা ১২টার দিকে তিনতলা বাড়িটির নিচতলার গোডাউনে চীনা নাগরিক চ্যাং হিং সংকে টাকার জন্যে হাত-পা বাঁধে সহকারী পারভেজ ও তার ভাতিজা রাজু। এরপর রড বা লোহার পাইপ জাতীয় কোনো বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত ও জখম করে। পরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে। এরপর তার মোবাইল ফোন সেট নিজেদের কাছে বন্ধ করে রেখে দেয়। তাকে হত্যা করে দু’জনই নিহতের ঘোপ বেলতলার ভাড়া বাড়িতে যায় এবং নকল চাবি ব্যবহার করে ঘরে ঢুকে দুই লাখ টাকার চেকটি নিয়ে নেয়। নিহতের স্ত্রী ঢাকায় থাকতেন। তিনি রাতে কয়েক দফা স্বামীকে ফোন করে না পেয়ে নাজমুলকে ফোন দেন। তখন নাজমুল জানায়, স্যারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। স্ত্রী বিষয়টি থানায় অবহিত করতে বলেন। রাতে পারভেজ কোতোয়ালী থানায় এ বিষয়ে জানাতে গেলে পুলিশ তাকেই সন্দেহ করে আটকে রাখে। পরে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে স্বীকারোক্তি দেয়। সকালে তাদের সাথে নিয়ে ওই গোডাউনে যায় পুলিশ এবং লাশ উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয় দুই লাখ টাকার চেক ও মোবাইল ফোনসেট। আসামি দুইজনই যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।