Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করতে গিয়ে ট্রলারসহ ১০ জেলে নিখোঁজ

| প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা :  বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করতে গিয়ে ১৯দিন ধরে একটি মাছধরা ট্রলারসহ ১০ জেলে নিখোঁজ রয়েছে। ১৬ জানুয়ারি এফবি ফয়সাল নামের মাছধরা ট্রলারটি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মৎস্যবন্দর আলীপুর আড়ৎ ঘাট থেকে গভীর সাগরের ছেড়ে যায়। এরপর থেকে ওই ট্রলারের কারো সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। নিখোঁজ জেলেরা হচ্ছেনÑ উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নে মাইটভাঙ্গা গ্রামের ট্রলার মাঝি আলী হোসেন গাজী (৩৫) ও জেলে যথাক্রমে কবির হাওলাদার (৩২), সোবাহান ঘরামী (৪৫), আলমগীর মাতুব্বর (৩৫), নজরুল গাজী (৩২), কাওছার মুসুল্লি (২৬), হাচান হাওলাদার (১৭) এবং মহিপুর ইউনিয়নের সেরাজপুর গ্রামের মো. রুবেল (২৫), জাহিদুল (১৮) ও সামীম (১৬)। এদিকে নিখোঁজ জেলেদের অনুসন্ধানে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এফবি ফেরদৌস ও এফবি ভাই ভাই নামে দু’টি মাছধরা ট্রলার সমুদ্র চষে বেড়াচ্ছে। তিনদিন অনুসন্ধান শেষে শনিবার সকালে ট্রলার দু’টি আলীপুর ঘাটে ফিরে এসেছে বলে নিখোঁজ জেলেদের আত্মীয় মো. খলিলুর রহমান মুুসুল্লি এ তথ্য জানিয়েছেন।
নিখোঁজ জেলে আলমগীর মাতুব্বরের বড় ভাই রুহুল আমিন মাতুব্বর জানান, ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ভেসে যেতে পারে অথবা ডাকাতদের কবলে পড়েছে কি না এটি তারা নিশ্চিত নয়। রুহুল আমিন মাতুব্বর আরো জানান, নিখোঁজ জেলেদের প্রতিটি পরিবারে এখন হাহাকার চলছে। কুয়াকাটা আলীপুর মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সভাপতি মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, নিখোঁজ জেলেদের অনুসন্ধান অব্যাহত রেখে কোস্টগার্ড। নৌবাহিনীকে বিষয়টি অবহিত করেছি। মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, নিখোঁজ সম্পর্কে আমাদের কাছে কেউ এখনো আসেনি। এলে প্রয়োজনীয় খোঁজখবর ও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দুই ট্রলারে নৌদস্যুর হানা
কুয়াকাটা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার পূর্বে ঢালচর সংলগ্ন পূর্ব-দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে এফবি বাইচু (১) ও এফবি বাইচু (২) নামের দু’টি মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সশস্ত্র জলদস্যু হানা জেলেদের জিম্মি করে মোবাইল সেট, মাছ, জাল, জ¦ালানি, সোলার প্যানেলসহ ব্যাটারি নিয়ে যায়। এ সময়  ট্রলার দু’টির ইঞ্জিন ভেঙে অকেজো করে দেয় বলে জানা গেছে।
ট্রলার মালিক আলীপুরের বেল্লাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার শেষ বিকেলে জলদস্যুরা তার এমন সর্বনাশ করে। শুক্রবার শেষ বিকালে খবর পেয়ে অপর একটি ট্রলার নিয়ে ডাকাত কবলিত ভাসমান ট্রলার দু’টি উদ্ধারের জন্য সাগরে লোক পাঠানো হয়েছে।
বেল্লাল তার ট্রলারের মাঝি দেলোয়ার হোসেনের বরাত দিয়ে জানান, জলদস্যুরা সবাই বাঁশখালী এলাকার। তাদের কাছে তিনটি বন্দুক এবং কয়েকটি রামদা ও ছ্যানা ছিল। এসময় ট্রলার থেকে এক জেলেকে জলদস্যুরা মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে নেয়। কোস্টগার্ড নিজামপুর ক্যাম্পের কন্টিজেন্ট কমান্ডার আবদুল আলিম জানান, ঘটনাটি শুনেছি। আমাদের স্থান থেকে ঘটনাস্থল অনেক দূরে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট এলাকার কোস্টগার্ড ক্যাম্প কাছে অবহিত করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ