Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি আইনি সহায়তা বাড়ছে

| প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : অসহায়, দরিদ্র ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল ব্যক্তিদের সরকারি খরচে গড়ে প্রতি মাসে ২৯ জনকে মামলায় আইনি সহায়তা এবং ৪৭ জনকে আইনি পরামর্শ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি। সম্প্রতি লিগ্যাল এইড কমিটির এক প্রতিবেদনে এতথ্য উঠে এসেছে। হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (বিচার ও প্রশাসন) ও লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য সাব্বির ফয়েজ ইনকিলাবকে বলেন, ইতোমধ্যে লিগ্যাল এইড কমিটি আর্থিকভাবে অসচ্ছল ব্যক্তিদের অনেকগুলো মামলায় আইনি সহায়তা দিয়েছে। প্রতিদিন বাড়ছে তাদের সেবার কার্যক্রম। আশা করি আগামিতে আরো বেশি সেবা দিতে পারবেন।
গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, জেল,  ফৌজদারি,  দেওয়ানি ও লিভ টু আপিল এবং দেওয়ানি ও ফৌজদারি রিভিশনসহ রিট পিটিশন নিয়ে ২০১৬ সালের আবেদন পড়েছে ৫০০টি। এর মধ্যে ৪৩৭ মামলাটি পরিচালনার জন্য গ্রহণ করেন লিগ্যাল এইড কমিটি। সেগুলোর মধ্যে ২১৯টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। এছাড়া ২০১৬ সালে ৭০৪ জনকে মৌখিক পরামর্শ দিয়েছেন লিগ্যাল এইড কমিটি। এর মধ্যে ৪৬৭ জন পুরুষ এবং ২৩৭ জন নারী রয়েছেন।   
দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে অসহায় দরিদ্ররা বিনামূল্যে মামলা পরিচালনার সুযোগ পাচ্ছেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধারণা ছিল যে, উচ্চ আদালতে অনেক বেশি টাকা ছাড়া মামলা করার সুযোগ নেই। সে ধারণা পাল্টে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির কার্যক্রম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসের কো-অর্ডিনেটর অ্যাডভোকেট রিপন পৌল স্কু সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কাউকে ফিরিয়ে দেই না। কমিটি অনুমোদন দিলে কারো কারো মামলা গ্রহণ করি। আবার অনুমোদন না দিলে তাকে মৌখিক পরামর্শ দেই।
২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যালয়টির উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি। এর আগেই গঠন করা হয় সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি। হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম এ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম তার স্থলাভিষিক্ত হন। আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মীসহ ১১ জন সদস্য। এর মধ্যে চেয়ারম্যানসহ ১০ জন নিয়ে মূল লিগ্যাল এইড কমিটি। বাকি দু’জন পর্যবেক্ষক হিসেবে যুক্ত রয়েছেন। এ কমিটির মাধ্যমে বার্ষিক আয় দেড় লাখ টাকার ঊর্ধ্বে নয়, এমন ব্যক্তিদের বিনামূল্যে আইনি সেবা দেয়া হয়। পাঁচটি ক্যাটাগরিতে বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে। ক্যাটাগরিগুলো হলো- ফৌজদারি আপিল ও রিভিশন, দেওয়ানি আপিল ও রিভিশন, জেল আপিল, রিট পিটিশন ও লিভ-টু- আপিল। সুপ্রিম কোর্টে আইনি সেবা দিতে লিগ্যাল এইড অফিস হাইকোর্ট বিভাগে ৭০ জন ও আপিল বিভাগে ৬ জন আইনজীবী মামলা পরিচালনা করছেন। দেশের স্বল্প আয়ের ও অসহায় নাগরিকদের আইনি সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ২০০০ সালে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন’ করা হয়। এ আইনের অধীনেই প্রতিষ্ঠা করা হয় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা। এ সংস্থার অধীনে সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের ৬৪  জেলায় লিগ্যাল এইড কমিটি কাজ করছেন।



 

Show all comments
  • Hedayet Ullah Chowdhury ৭ জুন, ২০২১, ৩:৩০ পিএম says : 0
    পারিপার্শ্বিক নানান কারণে আমি অসহায়,,বিস্তারিত লিখে জানাতে চাই,,
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ