পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত ৩
ইনকিলাব ডেস্ক : খাগড়াছড়ি ও চকরিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে খাগড়াছড়িতে ট্রাকচাপায় নারী-শিশুসহ ৭ জন এবং চকরিয়ায় বাস-মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৩ জন নিহত হয়েছেন।
খাগড়াছড়ি জেলা সংবাদদাতা : খাগড়াছড়ি-মাটিরাঙ্গা সড়কের আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের সামনে ট্রাক চাপায় ঘটনাস্থলেই নারী ও শিশুসহ সাতজন নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে কমপক্ষে আরও আট জন। বেলা ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, মহালছড়ি উপজেলার চোংড়াছড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা চেহ্লাগ্য মারমার স্ত্রী নেই¤্রা মারমা (৪০), মেয়ে টুনটুনি মারমা (১২), চলাপ্রু মারমার ছেলে উচনু মারমা (১৮), মংমং মারমার ছেলে মাথিন মারমা (০৫), মংক্রক মারমার ছেলে অংক্যচিং মারমা (১৮), মাটিরাঙ্গা উপজেলার তবলছড়ি ইউনিয়নের চাইথইলা মারমার ছেলে পুলু মারমা (১৬) ও রামগড় উপজেলার নাকাপা ইউনিয়নের কেচু মারমার ছেলে চাইথোয়াইপ্রু মারমা (১৬)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আলুটিলা ধাতুচৈত্য বৌদ্ধ বিহারে প্রয়াত এক বৌদ্ধ ভিক্ষুর দাহক্রিয়া অনুষ্ঠানে যোগ দিতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বৌদ্ধধর্মাবলম্বী অগণিত পূণ্যার্থী জমায়েত হয়। খাগড়াছড়ি যাওয়ার পথে ট্রাক চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আলুটিলা পর্যটন গেইটে বিহারে আসা পথচারীদের চাপা দেয়। এ সময় হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ারসার্ভিস কর্মী ও স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক আহত ও নিহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাতজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া আহতদের মধ্যে দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হলেও আটজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতরা হলেন, উমেচিং মারমা (৩০), ববি মারমা (৩০), শুকেস ত্রিপুরা (১৬), চিংম্রাউ মারমা (১৫), ম্রানাউ মারমা (২৫), চিংকিওলা মারমা (২৫), জনি মারমা (২৮) ও রনি মারমা (৩০)।
এদিকে ঘটনার পরপরই ট্রাক হেলপার মো. সুমন (১৬)-কে আটক করেছে পুলিশ। খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ আব্দুল হান্নান জানান, কুমিল্লা থেকে বালু নিয়ে খাগড়াছড়ি আসার পথে জালিয়াপাড়া এলাকায় এসে ট্রাকের মূল চালক ট্রাকটি হেলপারকে দিয়ে নেমে যান। পরে হেলপার সুমন ট্রাকটি চালিয়ে খাগড়াছড়ি আসার পথে নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং পথচারীদের চাপা দেয়।
এছাড়া সুরতহাল রিপোর্ট শেষে বিকেলে পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
চকরিয়ায় নারী শিশুসহ নিহত ৩
কক্সবাজার জেলা সংবাদদাতা : কক্সবাজারের চকরিয়ায় যাত্রীবাহী বাস ও পর্যটকবাহী নোহা মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আগুনে দগ্ধ হয়ে নারী-শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এ সময় মাইক্রোবাসের অপর ৯ যাত্রী অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ের উপজেলার হারবাং গয়ালমারা এলাকার ঘটেছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ঢাকার নিউমার্কেট কাঁচা বাজার এলাকার মোমিন হোসেনের স্ত্রী আফিয়া বেগম (৫৪), তার নাতি ইয়ামিন (১বছর) ও মাইক্রোবাসের চালক চাঁদপুর জেলার মহেশপুর উপজেলার আবুল পাটোয়ারীর ছেলে আরিফ পাটোয়ারী (৩৫)।
চকরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.কামরুল আজম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে একটি নারী-শিশুসহ ১২সদস্য ঢাকা থেকে ভ্রমন করতে নোহা মাইক্রোবাসে করে কক্সবাজার আসছিলেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে মাইক্রোবাসটি কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার হারবাং গয়ালমারা এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের সাথে ঘটনাস্থলে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ওসি আরো জানান, সংঘর্ষের এক পর্যায়ে মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে গাড়িতে আগুন লেগে যায়। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে নারী, শিশু ও চালকসহ তিনজন মারা যায়। আহতদেরকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা হাসপাতাল ও পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।