Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতের দু’টি মাদরাসায় ভার্চুয়্যাল ক্লাস উদ্বোধন

প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:১৩ এএম, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭

বিশাল চাকরিবাজারে সুযোগ বাড়বে মুসলিমদের
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতে মাদরাসা শিক্ষা বা ইসলামি শিক্ষায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দেশটির দু’টি মাদরাসা, সাকিনাকার দারুল উলূম আলী হাসান আহলে সুন্নাত এবং বারানসির মাদরাসা দাইরাতুল ইসলাহে চিরাগে উলূম তাদের প্রতিষ্ঠানে ভার্চুয়্যাল ক্লাস উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আধুনিকতার জগতে পা দিয়েছে। মুম্বাই ও বারানসিতে কুর্তা-পায়জামা ও টুপি পরিহিত বালক এবং হিজাব পরিহিতা বালিকারা ৭০ ইঞ্চি ব্যাসের টেলিভিশন সেটের সামনে বসে পড়ে এবং শিক্ষক তাদের ভার্চুয়্যাল শিক্ষার যাদুর জগত সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দেয়। দৃশ্যত: মৌলভী ও মুয়াল্লেমাগণ তাদের উল্লাস লুকালেন না, যখন তারা জানতে পারলেন যে, এই শিক্ষা তাদেরকে চাকরি বাজারের মূলধারা পর্যন্ত নিয়ে যাবে। তারা ইমাম ও বক্তার বাইরের দিকেও তাকাতে সক্ষম হবেন।
হায়দরাবাদের মৌলানা আজাদ ন্যাশনাল উর্দু ইউনিভার্সিটি (এমএএনইউইউ)-এর তালিম ও তারবিয়াত কর্মসূচির উদ্যোগে ভ্যালুয়্যাবল অ্যাডুটেইনমেন্ট-এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে চ্যান্সেলর জাফর সরেশওয়ালা বলেন, এ ধরনের ভার্র্চুয়্যাল ক্লাস দেশের আরো ৮টি মাদরাসায় শিগগিরই শুরু হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সিলেবাস অনুসরণ করে প্রশিক্ষিত শিক্ষকবৃন্দ অষ্টম, নবম ও দশম শেণির গণিত, বিজ্ঞান ও ইংরেজির ক্লাস নেবেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ সহযোগী সরেশওয়ালা বলেন, ‘মাদরাসা বিষয়ক দফতরের মধ্যস্থতা ছাড়াই আমরা তাদেরকে শিক্ষাক্ষেত্রে বিপ্লব আনয়নের প্রযুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করাতে সক্ষম হব। আমি দেখতে চাই এমন একজন মৌলভিকে যিনি একই সঙ্গে একজন ভালো ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা স্থপতি’।  
‘এসব বিষয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞদের আমরা আমন্ত্রণ জানাবো যাদের কাছ থেকেও তারা বিভিন্ন বিষয় শিখবে। মাদরাসায় ভার্চুয়্যাল ক্লাস হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের বাস্তবায়ন। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারণাকালে তিনি বলেছিলেন, আমি দেখতে চাই একজন মুসলিমের এক হাতে থাকবে একটি কুরআন এবং অপর হাতে থাকবে ল্যাপটপ’।
সরেশওয়ালা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মুম্বাইয়ের একটি স্টুডিও থেকে পরিচালিত হলেও এমএএনইউইউ এর বিশাল অবকাঠামো ব্যবহার করে আরো মাদরাসাকে এর সঙ্গে যুক্ত করা হবে’। তিনি আরো বলেন, তিনি এক বছর আগে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার সময় মাদরাসার আলেমদের সহযোগিতায় ড. এ আর আনজারিয়াকে দিয়ে একটি প্রস্তাব তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
দারুল উলূম আলী হাসান আহলে সুন্নাত-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবুল হাসান খান বলেন, ‘আনজারিয়া সাহেব যখন আমাকে ভার্চুয়্যাল ক্লাসের প্রস্তাব দেন তখন মনে হয় এটাই সেটা যার জন্য আমরা অপেক্ষা করছিলাম’। ‘ইমাম, বক্তা ও মাদরাসা শিক্ষকদের জন্য খুব বেশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই। মাদরাসা ছাত্রদের দিগন্ত আরো বিস্তৃত এবং কর্মক্ষমতা আরো উন্নত করা প্রয়োজন’।
আহলে সুন্নাত মাদরাসার ছাত্র মুস্তাকিম খান বলেন, ‘এ ধরনের জিনিস আমি কখনই দেখিনি। এ শিক্ষা আমাকে ১০ম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা দিতে এবং শিক্ষা চালিয়ে যেতে সহায়তা করবে’। সূত্র : টিএনএন।




 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ