পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এলাকার একটি বাসা থেকে জামায়াত কর্মী অভিযোগে গ্রেফতারকৃত ২৮ নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, গ্রেফতারকৃতরা সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করতে সেখানে জড়ো হয়েছিল। তাদেরকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেফতার ও রিমান্ড দেয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও জোনের ডেপুটি কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার গতকাল শুক্রবার সকালে মোহাম্মদপুর থানায় সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গ্রেফতারকৃতরা জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় নারী সদস্য। তাদের সমবেত হওয়ার উদ্দেশ্য ছিল সরকারকে অবৈধ উপায়ে বিব্রত করা। এদের মধ্যে কয়েকজন যুদ্ধপরাধের দ-প্রাপ্ত আসামিদের পরিবারেরও সদস্য রয়েছে। তাদের অনেকেই শিক্ষিত। কেউ কেউ কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাও করছেন। তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছি তারা ধর্মের ও তাবলিগের কথা বলে ধর্মের আড়ালে নাশকতা ছড়ানোর পরিকল্পনায় ছিল। ঘটনাস্থলের ওই বাসা থেকে উগ্রবাদ ছড়ানোতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বই, লিফলেটসহ বিভিন্ন কাগজপত্র পাওয়া গেছে। তারা শুধুমাত্র ঢাকা নয়, বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছেন।
এদিকে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই শরীফুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতরা কী উদ্দেশ্যে সেখানে জড়ো হয়েছিল এবং তাদের সাথে আরো কারা জড়িত রয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া জরুরি। যে কারণে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে গতকাল আদালতে পাঠানো হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর তাজমহল রোডের ১১/৭ বাড়ির দোতলা থেকে ২৮ নারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা জামায়াতের নারীসদস্য বলে পুলিশ দাবি করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।