পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে গেলেও নির্ধারিত হয়নি নবম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের সিলেবাস। ফলে ইতোমধ্যে ভোগান্তিতে পড়ছে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। নবম শ্রেণির বাংলা বইয়ে ৩১টি গদ্য ও ৩২টি কবিতা সংযোজিত আছে তার মধ্যে ১৫টি গদ্য ও ১৫টি কবিতা পাঠ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত ছিল। যা পড়ে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করত। বছরের শুরুতে বই পাবার পর দেখা যায় পূর্বের গদ্য ‘পালামো’ ও কবিতা ‘আমার সন্তান’ নতুন বইয়ে অন্তর্ভুক্ত হয়নি অর্থাৎ বাদ দেয়া হয়েছে। ফলে কোনো কোনো গদ্য ও কবিতা পাঠ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত তা গত এক মাসেও জানা যায়নি।
রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষকদের পাঠদানে খুবই সমস্যা হচ্ছে, ক্লাস নেয়ার স্বার্থে পছন্দ মতো গদ্য বা কবিতা পড়াচ্ছেন। এই পড়ানো কোনো কাজে আসবে কিনা তা তারা জানেন না। এই অনিশ্চয়তা নিয়ে তারা পূর্ব প্রস্তুতিও নিতে পারছেন না। এছাড়া শিক্ষার্থীদের দিক নির্দেশনা দিতে না পারায় তারাও হতাশায় ভুগছে।
রাজধানীর স্বনামধন্য একটি স্কুলের শিক্ষক ইউসুফ ইকবাল জানান, সময়মতো সিলেবাস দিতে না পারা একটি মারাত্মক সমস্যা। প্রতিযোগিতামূলক লেখাপড়ায় এতে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়বে। দ্রুত সিলেবাস না দিতে পারলে সবগুলো গদ্যপদ্য নির্ধারিত সময়ে পড়ানো সম্ভব হবে না। ফলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পাঠ পরিকল্পনা তৈরির ক্ষেত্রেও শিক্ষকদের অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির প্রচার সম্পাদক সাইদ এনাম জানান, অন্যান্য বছরগুলোতে সিলেবাস প্রণয়ন করে তা বিভিন্ন বিদ্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হয় কিন্তু এবার তা হয় না। টেক্সস্ট বুক বোর্ডের কিছু দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বার্থান্বেষী কর্মকর্তা ও মহল বিশেষ সরকারের অগ্রসরমান শিক্ষাকার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই এসব নেতিবাচক কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।