পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ ও জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের পাশ থেকে ‘গ্রিক দেবীর মূর্তি’ অপসারণের জন্য আবেদন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবরে বৃহস্পতিবার এই আবেদন করেছেন কাজী মাওলানা মোহাম্মদ আবুল হাসান শেখ এবং মুহম্মদ আরিফুর রহমান।
গতকাল প্রদত্ত আবেদনে বলা হয়, নিম্নস্বাক্ষরকারীগণ বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক এবং সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। সুপ্রিম কোর্টে সম্প্রতি ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপনে বাংলাদেশের আপামর জনগণ বিস্মিত। এই মূর্তি স্থাপন সংবিধানের ১২ ও ২৩ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। এতে আরো উল্লেখ করা হয়, ১৯৪৮ সালে এই কোর্ট স্থাপিত হয়। ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে ছিল ‘দাঁড়িপাল্লা’। বিগত ৬৮ বছর ধরে কেউ এর বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ করেনি। ৬৮ বছর পর হঠাৎ করে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িপাল্লার জায়গায় গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপন করে কী ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার চিন্তা করা হয়েছে, সেটা জনগণের কাছে বোধগম্য নয়। তাহলে কী বিগত ৬৮ বছর সুপ্রিম কোর্টে ন্যায়বিচার হয়নি? এ প্রশ্নই জাগ্রত হচ্ছে।
এসব দিক বিবেচনায় আবেদনে মূর্তি অপসারণে আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের পাশে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান। সালাতে সালাম ফেরানোর সময় চোখে পড়ে গ্রিক দেবীর মূর্তি। মূর্তি একত্ববাদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিক মুসলমান। এটা কিছুতেই মানতে পারছেন না তারা। অতএব, অনতিবিলম্বে সুপ্রিম কোর্ট থেকে মূর্তি অপসারণ করা হোক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।