পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজশাহী ব্যুরো : অন্য স্কুলে মেয়েকে ভর্তির জন্য ছাড়পত্র নিতে গিয়ে বাইরুল ইসলাম (৩৬) নামে এক প্রতিবন্ধী খাদ্য কর্মকর্তা বেধড়ক পিটুনির শিকার হয়েছেন। রাজশাহীর মসজিদ মিশন স্কুল অ্যান্ড কলেজের (মহিলা শাখার) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং তার অধঃস্তন কর্মচারীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে বাইরুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন। আহত খাদ্য কর্মকর্তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি রাজশাহী খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে সহকারী উপ-খাদ্য পরিদর্শক পদে কর্মরত আছেন।
খাদ্য কর্মকর্তা বাইরুল ইসলাম জানান, তার মেয়ে ফাহমিদা ইসলাম বিথি মসজিদ মিশন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় শ্রেণিতে অধ্যায়নরত। মেয়েকে অন্য স্কুলে ভর্তি করার জন্য তিনি গত ২৮ জানুয়ারি সকালে মসজিদ মিশন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যান। এরপর তিনি অধ্যক্ষ আবদুর রশিদের সঙ্গে দেখা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের জন্য ছাড়পত্র (টিসি) চান। কিন্তু অধ্যক্ষ তাকে টিসি দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
একপর্যায়ে অধ্যক্ষ আবদুর রশিদ টিসি দেয়ার বিপরীতে তিন হাজার ২০০ টাকা দাবি করেন। বাইরুল ইসলাম টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অধ্যক্ষের সঙ্গে বাকবিত-া শুরু হয়। একপর্যায়ে অধ্যক্ষ এবং তার অধঃস্তন কর্মচারীরা তাকে বেধড়ক পেটায়। তাকে মাটিতে ফেলে দিয়ে তার ডান পা ও শরীরের অন্যান্য অংশে আঘাত করা হয়। এরপর তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খাদ্য কর্মকর্তা বাইরুল ইসলামের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক মশিউর রহমান মানিক জানান, আঘাতের কারণে রোগির ডান পায়ের গোড়ালি ভেঙে গেছে। এছাড়া পায়ে ঘা রয়েছে। না শুকালে অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হচ্ছে না। ডান পা ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অংশে লাঠির আঘাত রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুর রশিদ বলেন, ‘বাইরুল ইসলামকে মারপিট করা হয়নি। তিনি আমার কার্যালয়ে এসে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এসময় আমার অধঃস্তন কর্মচারীরা তাকে কার্যালয়ের বাইরে নেয়ার সময় তিনি পড়ে গিয়ে আহত হন। আমরা তার চিকিৎসার ব্যয় বহনের প্রস্তাব দিয়েছি।’
খাদ্য কর্মকর্তা বাইরুল ইসলাম বলেন, ‘পোলিও রোগে আক্রান্তের কারণে ছোটবেলা থেকেই আমার ডান পায়ে সমস্যা। এরপরেও আমার মতো একজন প্রতিবন্ধী মানুষকে মারপিট করা অত্যন্ত অন্যায় কাজ। চিকিৎসার কারণে আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারিনি। চিকিৎসা শেষে থানায় মামলা দায়ের করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।