পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাত এজেন্সিকে সাত হাজার চাহিদাপত্রের অনুমোদন হচ্ছে
শামসুল ইসলাম : অবশেষে দশ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমেই অনলাইন প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের পর্দা উঠছে। আপাতত সম্ভাবনাময় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সম্পৃক্ত হবার সুযোগ প্রত্যেক বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির ভাগ্যে যুটছে না। এ নিয়ে জনশক্তি রফতানিকারকদের কেউ কেউ আদালত পর্যন্ত স্মরণাপন্ন হয়েছেন। জনশক্তি রফতানি পুরোপুরি শুরু হলে উল্লিখিত দশটি রিক্রুটিং এজেন্সির এজেন্ট হিসেবে আরো প্রায় দু’শ রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী প্রেরণের সুযোগ পাবে বলে বলা হচ্ছে। এতে অধিকাংশ রিক্রুটিং এজেন্সি’র মালিক স্বত্বাধিকারীরা চরমভাবে ক্ষুদ্ধ। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানের উপ-সচিব মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর গতকাল স্মারক নং ২৩৪-এর মাধ্যমে জি টু জি প্লাস পদ্ধতিতে স্বল্প অভিবাসন ব্যয়ে (৩৩ হাজার ৫শ’ ৭৫ টাকা ) মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের লক্ষ্যে রিক্রুটিং এজেন্সি ইউনিক ইস্টার্ন (প্রা:) লিমিটেডসহ সাতটি রিক্রুটিং এজেন্সিকে প্রায় সাত হাজার নিয়োগানুমতি ইস্যু করেছেন। এসব নিয়োগানুমতির ফাইল গতকাল বিকেলে বিএমইটির মহাপরিচালক সেলিম রেজার দফতরে পাঠানো হয়েছে। বিএমইটির নির্ভরযোগ্য সূত্র এতথ্য জানিয়েছে। রাতে বিএমইটির মহাপরিচালক সেলিম রেজার সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। সূত্র মতে, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে চলতি মাসেই এসব কর্মী মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ পাবে। গত বছর ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের অংশ হিসেবেই জি টু জি প্লাস পদ্ধতিতে অনলাইনের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার ফেলডা গ্লোবার ভ্যানচারস প্লানটেশন (মালয়েশিয়া) এসডিএন বিএইচডি কোম্পানিতে প্লানটেশন ওয়ার্কারের চাহিদাপত্র ইস্যু হয়েছে। মালয়েশিয়ায় গমনেচ্ছু কর্মীদের বহির্গমন ছাড়পত্র ইস্যু করার পূর্বে নির্বাচিত প্রত্যেক কর্মীর সঙ্গে নিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে। মালয়েশিয়ায় কর্মীর মেয়াদ হবে তিন বছর এবং মাসিক বেতন জনপ্রতি এক হাজার রিংগিট ধার্য করা হয়েছে। বাসস্থান ও যাতায়াত নিয়োগকর্তা বহন করবে। চুক্তিপত্রের কোনো শর্ত লঙ্ঘন হলে এবং কর্মীরা সংশ্লিষ্ট কোম্পানিতে চাকরি ও বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা না পেলে কর্মীদের থাকা খাওয়া, দেশে প্রত্যাবর্তনের ব্যয়সহ ক্ষতিপূরণ রিক্রুটিং এজেন্সিকে বহন করতে হবে।
এদিকে মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে হোটেল বিস্তানায় এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু এমপি দশ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি শুরু হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আমার জানাই ছিলনা যে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো নিয়ে সিন্ডিকেট করার প্রক্রিয়া চলছে । এই বিষয়টি আমার মন্ত্রণালয়ের না হলেও আমি জাতীয় সংসদে এ সিন্ডিকেটের বিষয়টি উত্থাপন করবো। রাতে কুয়ালালামপুর থেকে নির্ভরযোগ্য সূত্র এতথ্য জানিয়েছে। কুয়ালালামপুরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে প্রবাসী কর্মীদের জন্য। প্রবাসীদের শ্রমের মাধ্যমে দেশ আজ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে হাঁটছে। এ জন্য জাতি গর্বিত। বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিটেন্স দেশের জন্য নিয়ামত। বাংলাদেশ কমিউনিটির উদ্যোগে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ডা:শঙ্কর পোদ্দারের সভাপতিত্বে ও জসিম চৌধুরীর পরিচালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ মালয়েশিয়া একাংশের নেতা রেজাউল করিম রেজা, ডা. আনিছুর রহমান, রাশেদ বাদল, মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, শওকত হোসেন পান্না বুলবুল, ওয়ালিউল্লা জাহিদ, মাহতাব খন্দকার ও আলি হুসেন। অনুষ্ঠানে দাতু আমিনুল ইসলাম মিলন, অহিদুর রহমান অহিদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল, হাজী হামিদ জাকারিয়া, আবুল হোসেন আবুল, শফিকুর রহমান চৌধুরী, হুমায়ূন কবির, লিটন আজিজ দেওয়ানসহ কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপক কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় দীর্ঘদিন পর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হয়েছে। কিন্তু এই শ্রমবাজার বন্ধ হবার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে একটি সিন্ডিকেটের কারনে। দেশে প্রায় ১২’শ অধিক বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি রয়েছে অথচ মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর জন্য মাত্র ১০টি এজেন্সি দায়িত্ব পেয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। বক্তারা বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর জন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত এজেন্সিগুলো ইতোমধ্যে সরকার নির্ধারিত খরচের তিনগুন বেশি খরচের যুক্তি করে শ্রমিকদের কাছ থেকে পাসপোর্ট জমা নিচ্ছে। দেশের মানুষের কল্যাণে সিন্ডিকেটের হাত থেকে শ্রমবাজারকে রক্ষা করতে প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কমিউনিটি নেতারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।