Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪, ১৩ আষাঢ় ১৪৩১, ২০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

এ মাসেই আগাম বজ্রঝড় !

পৌষ-মাঘে তাপমাত্রা ঊর্ধ্বে

| প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শফিউল আলম : চলতি ফেব্রুয়ারি (মাঘ-ফাল্গুন) মাসের দ্বিতীয়ার্ধে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ১ থেকে ২ দিন বজ্রঝড় তথা আগাম কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। এ মাসের প্রথমার্ধে দেশের উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের উপর দিয়ে ১টি মৃদু (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে এ মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে সারাদেশেই পুরো জানুয়ারি মাসজুড়ে (পৌষ-মাঘ) দিন ও রাতের গড় সর্Ÿোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা ঊর্ধ্বে ছিল। এতে করে পুরো শীতকালে কনকনে শীতের স্বাভাবিক আমেজ ছিল না। ফেব্রুয়ারি মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।  
দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস প্রদানের লক্ষ্যে গতকাল (বুধবার) আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির নিয়মিত বৈঠকে চলতি ফেব্রুয়ারি) মাসের উপরোক্ত পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের এই বৈঠকে প্রাপ্ত আবহাওয়া-জলবায়ুর তথ্য-উপাত্ত, ঊর্ধ্বাকাশের আবহাওয়া বিন্যাস, বায়ুম-লের বিভিন্ন স্তরের বিশ্লেষিত আবহাওয়া মানচিত্র, জলবায়ুর রিগ্রেশন ও এনালগ মডেল, বৈশ্বিক আবহাওয়া-জলবায়ুর সর্বশেষ গতি-প্রকৃতি, আবহাওয়াম-লে এল-নিনো কিংবা লানিনা অবস্থা ইত্যাদির বিশ্লেষণ করা হয়। এদিকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সীতাকু-ে ৩০ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গল ও চুয়াডাঙ্গায় ১১ ডিগ্রি সে.। এ সময় ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৪ এবং ১৪.৩ ডিগ্রি সে.।   
ফেব্রুয়ারি মাসের পূর্বাভাসে আরও জানা গেছে, এ মাসের প্রথমার্ধে দেশের নদ-নদীর অববাহিকা ও অন্যত্র সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীসমূহে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক থাকবে। কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের দৈনিক গড় বাষ্পীভবন ২ দশমিক ৭৫ থেকে ৩ দশমিক ৭৫ মিলিমিটার এবং গড় সূর্য কিরণকাল সোয়া ৭ থেকে সোয়া ৮ ঘণ্টাকাল স্থায়ী থাকতে পারে।  
বিশেষজ্ঞ কমিটির গতকালের বৈঠকে বিগত জানুয়ারি মাসের আবহাওয়া পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। এতে জানা গেছে, জানুয়ারি মাসে সারাদেশে সার্বিকভাবে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। পশ্চিমা লঘুচাপের সাথে পূবালী বাতাসের সংযোগে গত ৩ জানুয়ারি রংপুর বিভাগে, ১০ জানুয়ারি রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে এবং ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক স্থানে হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হয়েছে।  
এদিকে গত ৭ ও ২৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের অন্যান্য বিভাগের উপর দিয়ে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি এই শৈত্যপ্রবাহ টাঙ্গাইল, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারি, পঞ্চগড় ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে তীব্র আকারে (৬ ডিগ্রি সে. বা তারও কম) রূপ নেয়। এ সময়ে (১৪ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাজারহাট ও তেঁতুলিয়ায় ৫ ডিগ্রি সে.। যা এবার শীত মওসুমে এ যাবত রেকর্ডকৃত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। জানুয়ারি মাসজুড়ে বাতাসের নিম্নস্তরে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কিছুটা বেশি থাকায় সারাদেশে শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার সৃষ্টি হয়। এ কারণে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সূর্যকিরণ সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। পুরো জানুয়ারি মাসজুড়ে গড় সর্Ÿোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা যথাক্রমে ১ দশমিক ২ এবং দশমিক ১ ডিগ্রি সে. বেশি ছিল। বৃষ্টিপাত ও বৃষ্টিপাতের দিন সংখ্যা, তাপমাত্রা, কুয়াশা, কৃষি আবহাওয়া এবং দেশের নদ-নদীর অবস্থা জানুয়ারি মাসের পূর্বাভাসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ