পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আজ থেকে ৩৮ বছর আগে। যাদের হাত দিয়ে ছাত্রদল গঠিত; তাদের অন্যতম ড. কাজী আসাদ। তিনি ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিজ সন্তানের মতো যাদের শাসন-বারণ ও স্নেহ করতেন তাদের মধ্যেও অন্যতম ছিলেন কাজী আসাদ। বর্তমান কমিটিতে তিনি দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা।
দলের সিনিয়র নেতারা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে কাজী আসাদকে ছাত্রদলের আলোকবর্তিকার প্রথম প্রজ্জ্বলক আখ্যা দিয়ে থাকেন। দলের সকলস্তরে প্রিয় ব্যক্তি সেই সাবেক ছাত্র নেতা আজ মৃত্যু পথযাত্রী। ড. কাজী আসাদ দূরারোগ্য ব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত।
দেশের রাজনীতির যখন ধনকুবের আর সুবিধাভোগীদের কব্জায়। পদ কেনা-বেচার বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের দ্বারপ্রান্তে দল। রাজনীতিবিধ হবার প্রথম সিঁড়ি ছাত্র নেতা। সেই ছাত্র নেতারা যখন লাখপতি থেকে কোটিপতি হয়ে যায়। শত শত ফ্ল্যাট বাড়ির মালিক। টিনের খুঁপড়ি থেকে এখন বিলাসবহুল অট্টালিকায় বসবাস। সেসব কিছুই আঁচড় কাটতে পারেনি কাজী আসাদকে। অন্যরা যখন শহীদ জিয়ার আদর্শচ্যুত হয়ে অর্থ উপার্জনের ধান্ধ্যায় লিপ্ত সে সময় কাজী আসাদ ছাত্র নেতৃত্বে জিয়ার আদর্শ ফেরি করছেন। প্রচারবিমুখ, নির্মোহ, নিবেদিত ড. কাজী আসাদ রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে তার জন্য যে মোটা অঙ্কের টাকার প্রয়োজন সে সামর্থ কাজী আসাদের নেই।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা তাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন। তার ব্যথায় ব্যথিত হয়েছেন। সমবেদনা জানিয়েছেন। কিন্তু কাজী আসাদকে বাঁচার জন্য যে টাকার প্রয়োজন সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ হাত বাড়ায়নি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান ইনকিলাবকে জানান, ক্যান্সার তো রয়েছেই। কাজী আসাদের দুটি কিডনির মধ্যে একটি অনেক আগেই পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। অন্যটি এবার বিকলের পথে। অবস্থার অবনতি দেখা দিলে তাকে প্রথমে হলি ফ্যামেলি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ২৮ জানুয়ারি স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
তিনি জানান, ম্যাডাম ( বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া) আসাদ ভাইয়ের খবর রাখছেন। এছাড়াও হাসপাতালে চিকিৎসার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খোঁজ রাখছেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান সাবেক ছাত্র নেতা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
গতকাল রাতে তার স্ত্রী ইনকিলাবকে বলেন, দেখুন এই চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তারপরও আমরা পারিবারিকভাবে চেষ্টা চালাচ্ছি। আমাদের স্বজনরাও পাশে আছে। আমরা শর্টে পড়লে ম্যাডামের ( খালেদা জিয়া) সহযোগিতা পাবো-এমনটি আশা করি। কারণ ম্যাডাম আসাদকে তার সন্তানের মতোই দেখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।