Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

রংপুর ও মাগুরায় ৩ ডাকাত নিহত

‘বন্দুক যুদ্ধ’

| প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : গতকাল পৃথক ঘটনায় ‘বন্দুক যুদ্ধে’ রংপুরে দুই ডাকাত ও মাগুরায় ডাকাত সর্দার নিহত হয়েছে।
রংপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, রংপুরে পুলিশের সঙ্গে ডাকাত দলের বন্দুকযুদ্ধে দুইজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার ভোরে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার লেংটিছড়া ব্রিজের কাছে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশি পাইপগান ও একটি ওয়ান সুটারগান উদ্ধার করেছে।
তারাগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল লতিফ জানিয়েছেন, বুধবার ভোরে রংপুর দিনাজপুর মহাসড়কের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের কুর্শা গ্রামের লেংটিছড়া ব্রিজের কাছে একদল ডাকাত সড়কে ডাকাতি করছে এমন খবরের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। এতে দুইজন ডাকাত নিহত হয়। নিহতদের একজনের নাম মশিউর রহমান। তার বাড়ি তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের ধোলাইঘাট গ্রামে। অপরজনের নাম বিজয়। তার বাড়ি রংপুর নগরীর বুড়িরহাট এলাকায়। তারা দু’জনই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে ১৪/১৫টি করে ডাকাতি মামলা রয়েছে।
মাগুরায় ডাকাত সর্দার নিহত
মাগুরা জেলা সংবাদদাতা জানান, মাগুরায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে জোবান শেখ (৩৩) নামে এক ডাকাত সর্দার নিহত হয়েছে। এ সময় ৪ পুলিশ সদস্য আহত, হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধ হলে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানায়।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) সুদর্শন কুমার রায় জানান, ধলহারা-বিনোদপুর সড়কের চাউলিয়া এলাকায় একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে, গোপন সূত্রে এমন সংবাদ পায় পুলিশ। এ সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে সদর থানার এসআই গাজী শামীমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনা স্থলে পৌঁছালে ডাকাতরা পুলিশ কে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা ৫/৬ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করলে তারা পালিয়ে যায়। এ সময় চাউলিয়া মাঠের দক্ষিণ পাশে ডাকাত সর্দার জোবানের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি, ১টি ম্যাগজিন, ২টি রামদা, ৪টি বন্দুকের গুলির খোসা উদ্ধার করে। নিহত জোবান চাউলিয়া গুচ্ছগ্রাম এলাকার সোহরাব শেখের ছেলে। তার বিরুদ্ধে মাগুরা সদরসহ বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণসহ ১৩টি মামলা রয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য সদর থানা থেকে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ