পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কক্সবাজার অফিস : মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট বলেছেন, ধর্ম আমাদের বিভিন্ন হলেও স্রষ্টা আমাদের কিন্তু এক। আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় থাকলে সমাজে কোন ধরণের সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খলা হয়না। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানকার আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি চমৎকার। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ধারক হিসেবে কারে যাচ্ছেন।
তিনি আজ বুধবার কক্সবাজার সাগর পাড়ের ইসলামিয়া মহিলা কামিল মাস্টার্স মাদরাসা পরিদর্শনকালে একথা বলেন।
গত তিনদিন ধরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট কক্সবাজার সফরে রয়েছেন। বাংলাদেশী মেয়েদের মত একটি বেগুনী রংয়ের ওড়না পরা বার্নিকাট আজ সকাল সাড়ে নয়টায় ইসলামিয়া মহিলা কামিল মাস্টার্স মাদরাসা ক্যাম্পাসে পৌঁছান। মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা জাফর উল্লাহ নূরী তাঁকে স্বাগত জানান।
মাদরাসার সুন্দর পরিবেশ, শিক্ষা কার্যক্রম ও শিক্ষার্থীদের সু-শৃঙ্খল অবস্থা দেখে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সন্তোষ প্রকাশ করেন। এসময় মাদরাসার প্রিান্সপ্যাল মাওলানা জাফর উল্লাহ নূরী মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন।
মাদরাসায় পৌঁছেই সেখানে আমেরিকান সেন্টার আয়োজিত দুই মাসব্যাপী ইংরেজি ভাষা কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তিনি।
বার্নিকাট বলেন, বাংলাদেশও আমেরিকার মত একটি দেশ। এখানে বহু জাতি ও সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির অভাবে সমাজে সন্ত্রাস-বিশৃঙ্খলা হয়ে থাকে। আমেরিকান সেন্টার ইংরেজি ভাষা প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর মানুষের মাঝে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সৃষ্টির কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী মিয়ানমারে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি না থাকায় সেখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নেই। সামাজিক বিশৃঙ্খলা বন্ধ হচ্ছে না। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতনের পেছনে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির অভাব অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করে বার্নিকাট বলেন, বাংলাদেশ তার ব্যতিক্রম। এখানকার আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি তাকে মুগ্ধ করেছে।
আমেরিকান সেন্টারের সহায়তায় কক্সবাজারে এলপিসি বা ল্যাংগুয়েজ প্রফিসিয়েন্সি সেন্টার গত দুই মাসব্যাপী চলে আসা একটি ইংরেজি ভাষা শিক্ষা কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল ইসলামিয়া মাদরাসায়। বার্নিকাট ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। বিভিন্ন স্কুল-মাদরাসা ও কলেজের শিক্ষকসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ৫০ জন শিক্ষার্থী এতে অংশ গ্রহণ করেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে ছিলেন, দূতাবাসের সমন্বয় কর্মকর্তা মি. কেলী, ইংরেজি ভাষা বিষয়ক কর্মকর্তা রাইহানা সোলতানা ও এলপিসি সমন্বয়কারী জাবেদ হায়দার করিম এবং কক্সবাজারের এলপিসি কর্মকর্তা প্রফেসর আরিফুল ইসলাম, প্রফেসর নূরুল আজিম, প্রফেসর মু. ওয়াকার উদ্দিন ও প্রফেসর জেবুন্নিসা প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।