Inqilab Logo

শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

টাঙ্গাইল থেকে ভারতে পাচারের দেড় বছর পর তরুণী উদ্ধার ১১ জন আটক

| প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা : অপহরণের পর ভারতে পাচারের দীর্ঘ দেড় বছর পর ইন্টারপোলের সহায়তায় অপহৃতাকে উদ্ধার করেছে টাঙ্গাইল র‌্যাব। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন সময় ১১ জনকে আটক করা হয়। তারা বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। গতকাল সোমবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব কমান্ডার মহিউদ্দিন ফারুকী এ তথ্য জানান।
টাঙ্গাইল র‌্যাব-১২ সিপিসি ৩ এর কোম্পানী কমান্ডার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী তার নিজ কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিং করেন। সেখানে উপস্থিত করা হয় উদ্ধার হওয়া তরুণীকে। এসময় ফারুকী বলেন, ‘২০১৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দেউলাবাড়ী গ্রামের খোকা মিয়ার স্ত্রী ও অপহৃতার ফুপু রওশন আরা লিখিত অভিযোগে জানান ওই বছরের ১৭ আগস্ট ভাতিজি সাবিনা আক্তার (১৮) অপহরণ করা হয়। অপহরণের একমাস পর ২৫ সেপ্টেম্বর মুঠোফোনে কল করে অজ্ঞাত একব্যক্তি জানায় অপহৃতাকে ভারতে পাচার করা হয়েছে। পাঁচ লাখ টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে। দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এত টাকা সংস্থান করতে না পেরে টাঙ্গাইল র‌্যাব কার্যালয়ে এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। মুঠোফোনের কল লিষ্টের সূত্র ধরে র‌্যাব তদন্ত শুরু করে। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ইন্টারপোলের সহায়তা চাওয়া হয়। অপহরণকারীদের দাবিকৃত টাকা পরিশোধের আশ্বাস দিয়ে ফাঁদ পাতে র‌্যাব। আর এই ফাঁদে একে একে ধরা পড়ে ১১ জন অপহরণকারী চক্রের পুরুষ ও নারী সদস্য। এরা হলেন, খুলনার সোনাডাঙ্গা উপজেলার গোবর চাকা মোল্লাবাড়ী গ্রামের মৃত হান্নান হাওলাদারের ছেলে রোকন (২২) একই জেলার তেরখাদা উপজেলার শেখপুরা গ্রামের মৃত মোজাম্মেল সরদারের ছেলে আমির হোসেন (২৩), টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার বাবুপুর গ্রামের মৃত হায়েত আলী মাস্টারের মেয়ে আয়েশা আক্তার আশা (২৮), গোপালগঞ্জ সদরের নিজরা বটবাড়ী গ্রামের মাজেদ খন্দকারের ছেলে হাসান খন্দকার (৩০) ও মানিকদা গ্রামের মোঃ রেজাউলের ছেলে আবু তাহের (৩০), যশোর সদরের ঘড়িভাঙ্গা গ্রামের ইব্রাহিম মোড়লের ছেলে হাবিবুর রহমান (২৮), রুহুল আমিনের ছেলে আবু সামাদ, নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার বেন্দার চর গ্রামের মৃত তৈয়ব মোল্লার ছেলে মিল্টন মোল্লা (২৩), চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার চররামপুর গ্রামের আব্দুল মজিদ মিজির ছেলে মামুন মিজি, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুন্সীরহাট গ্রামের মৃত ছালামতের ছেলে সালমান (৩২)। তাদের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানায় দুটি মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। সর্বশেষ, গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর খুলনার তেরখাদা উপজেলার শেখপুরা গ্রামের মৃত রকফান মোল্লার ছেলে আজগর মোল্লাকে (৩১) আটক করে র‌্যাব। আটককৃতরা আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে তরুণীকে পাচার এবং দিল্লির একটি যৌন পল্লীতে বিক্রির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তারা বর্তমানে টাঙ্গাইল জেলহাজতে রয়েছে।’
ফারুকী বলেন, ‘তাদের স্বীকারোক্তির পর ইন্টারপোলের সহায়তায় তরুণীকে উদ্ধারের জন্য ভারতীয় পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়। তাকে উদ্ধারের বিষয়টি টের পেয়ে পাচারকারী চক্রটি তরুণীকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ফেলে রেখে যায়। পরে বিজিবি, বিএসএফ, ইমিগ্রেশন পুলিশের সহায়তায় গত রোববার বিকেলে র‌্যাব সাবিনাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল নিয়ে আসে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ