পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের প্রতিটি পর্যায়ে ‘অনিয়ম-দুর্নীতি’ রয়েছে উল্লেখ করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার আমিনুল ইসলাম দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। গতকাল (সোমবার) দুপুরে তাঁর নেতৃত্বে দুদকের একটি দল চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নেতারাও ছিলেন।
বৈঠক শেষে আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সম্প্রতি ধারাবাহিকভাবে একাধিক পত্রিকায় কাস্টমস হাউজ সম্পর্কে অনুসন্ধানী রিপোর্ট হয়েছে। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় টকশোতে ফুটেজ দেখিয়েছে কাস্টমস হাউজের মধ্যে কিভাবে টাকা লেনদেন হয়। এটা অত্যন্ত দুঃখের উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যেখানে চেষ্টা করছি দেশকে সুন্দর পর্যায়ে নিতে সেখানে টাকা লেনদেনের ছবি মিডিয়ায় আসে। ভাবলাম নির্দেশনা দিয়ে যদি ছেড়ে দিই তাহলে হবে না। প্রতিটি পর্যায়ে অনিয়ম আছে।
কাস্টমস হাউজ কর্তৃপক্ষ চিন্তা করছে কিভাবে অনিয়মগুলো ধাপে ধাপে দূর করা যায়। অনেক সরকারি অফিস করেছে। কিন্তু কাস্টমস হাউজে এখনও তা দেখতে পাইনি।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা কাস্টমস কর্মকর্তাদের কক্ষে অবাধে চলাচল করে উল্লেখ করে আমিনুল ইসলাম বলেন, যে সমস্ত কর্মকর্তার ছবি (ঘুষ গ্রহণের) এসেছে আশা করেছিলাম কাস্টমস হাউজ তদন্ত করবে, ব্যবস্থা নেবে, সাসপেন্ড করবে।
এখনও বলছি সাসপেন্ড করুন, দুদকও তদন্ত করবে। দুর্নীতিবাজদের জন্য দুদক আতঙ্কের মতো। আমাদের যে ক্ষমতা আইনে আছে দুদক বাসায়-অফিসে গিয়ে তদন্ত করতে পারবে। অর্থ, সম্পদ গোপন করার সুযোগ পাবেন না।
আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা সরকারি প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে আলাদাভাবে বসার চেষ্টা করছি। জনগণের কাছ থেকে যথেষ্ট সাড়া পেয়েছি। দুর্নীতি বন্ধে তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। দুর্নীতির লাগাম কোনো কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে টেনে ধরতে পেরেছি। পরে দুদকের দল বন্দর ভবনে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে আমিনুল ইসলাম বলেন, এখানে সিস্টেম সম্পর্কে জানা দরকার ছিল। যে অভিযোগ পেয়েছি সে বিষয়ে জানতে চেয়েছি। যেসব ক্ষেত্রে দুর্নীতির সম্ভাবনা আছে তা নিয়ে কথা বলেছি। তারাও সম্মত হয়েছেন। আমরা কমিশনে এসব নিয়ে কথা বলব। সংশ্লিষ্ট বিভাগকে এ ব্যাপারে জানাব। কোনো সুনির্দিষ্ট তদন্তের অভিযোগ হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব একেবারেই ভেতরের বিষয়, এখন বলব না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।