পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ছারছীনা সংবাদদাতা : শতাব্দীর ঐতিহ্যবাহী ছারছীনা দারুচ্ছুন্নাত জামেয়া-ই-ইসলামিয়ার সাবেক মুহাদ্দিস মাওলানা আবদুর রশীদ (সূফী সাহেব) হুজুর গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬.১৫ মিনিটের সময় বার্ধক্যজনিত কারণে মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেরা গ্রামে নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন। ইন্তেকালের সময় তাঁর বয়স হয়েছিল আনুমানিক ৮০ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও চার মেয়ে রেখে গেছেন। তিনি ১৯৪০ সালে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজায় জন্মগ্রহণ করে। ছারছীনা মাদরাসায় কামিল পর্যন্ত অধ্যয়ন করে সেখানেই ১৯৬৫ সালে মুহাদ্দিস হিসেবে যোগদান করেন। সুদীর্ঘ ৫৬ বছর তিনি ছারছীনায় খেদমত করেন এবং মৃত্যুর পূর্বপর্যন্ত ছারছীনা দরবার শরীফের মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং বাংলাদেশ জমইয়তে হিযবুল্লাহর নায়েবে আমির ছিলেন। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য অগণিত ছাত্র ও ভক্তবৃন্দ রয়েছে।
মঙ্গলবার বাদ জোহর ছারছীনা দরবার শরীফে তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল বুধবার সকাল ১১ ঘটিকায় তাঁর নিজ বাড়ি মঠবাড়িয়ার সাপলেজায় নামাজে জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠিত হবে।
ছারছীনা পীর ছাহেবের শোক :
ছারছীনা দরবার শরীফের পীর ছাহেব এক শোকবার্তায় বলেন- মাওলানা আবদুর রশীদ সূফী সাহেব হুজুর ছারছীনা দরবারের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্রতুল্য ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে আমি অত্যন্ত শোকাহত ও মর্মাহত। তাঁর মৃত্যুতে দরবার শরীফের একটি অপূরণীয় ক্ষতি হলো। যা কোনদিন পূরণ হবার মতো নয়। তিনি আমার ওস্তাদও ছিলেন। আমি দোয়া করি আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতের সুউচ্চ মাকাম দান করেন এবং তাঁর আত্মীয়-স্বজনকে ধৈর্যধারণ করার তৌফিক দান করেন।
এদিকে সূফি সাহেব হুজুরের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে তার ছাত্র, ভক্ত এবং পীর ভাইদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। সন্ধার পর থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে শোকাহত লোকজন তার বাড়িতে জড়ো হতে শুরু করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।