Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র : কাঁচপাই নদীর পাড় থেকে তিরছা পর্যন্ত রাস্তা চাই

| প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলাধীন ধুবড়িয়া ইউনিয়নের জনবহুল একটি গ্রাম কাঁচপাই। এখান থেকে উপজেলা শহরের দূরত্ব প্রায় ৮ কিলোমিটার। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। প্রয়োজনীয় রাস্তা না থাকায় বিকল্প পথে প্রায় ১৮ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে উপজেলা শহরে যাতায়াত করতে হয়। এত বিশাল দূরত্বের পথ অতিক্রম করে উপজেলা শহরে স্বাস্থ্যসেবা নিতে গিয়ে অনেক অসুস্থ রোগী, মা ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দাপ্তরিক কাজে উপজেলা শহরে যেতে হয়। ঢাকা শহরে যেতে হলেও পেরোতে হয় বিশাল দূরত্বের রাস্তা। তাই কাঁচপাই নদীর পাড় থেকে তিরছা পর্যন্ত রাস্তাটি নির্মাণ করা হলে জনগণের কষ্ট লাঘব হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
মো. সফিকুল ইসলাম
কাঁচপাই, সলিমাবাদ, নাগরপুর, টাঙ্গাইল।

বেকারদের চাকরি দিন
দেশের হাজার হাজার লাখ লাখ শিক্ষিত ছেলে বেকার। হন্যে হয়ে চাকরি খুঁজছে তারা। প্রতিদিনের খবরে কাগজে খবর হয়ে আসে-চাকরি নিয়ে চলছে ঘুষ বাণিজ্য। কত সরকারি অফিসে, প্রতিষ্ঠানে অসংখ্য পদ খালি রয়েছে অথচ লোক নিয়োগ হচ্ছে না। মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ তথ্য দপ্তওে (মৎস্য ভবন) বর্তমানে ১১০টি পদের মধ্যে মাত্র ২০ থেকে ২২ জনের মতো কর্মরত রয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। বাকি পদগুলো দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকায় মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রচার-প্রচারণা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শুধু এ দপ্তর নয়, আরো কত দপ্তরে যে শূন্য পদ রয়েছে তার হিসেব কেউই রাখে না। তবু প্রত্যাশা- শূন্য পদগুলো পূরণ করা হবে, বেকারদের চাকরি দেওয়া হবে। শিক্ষিত বেকাররা পথে পথে ঘুরবে- এটা হতে পারে না, কিছুতেই না।
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা।

শুধু পঙ্গু ও দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দেয়া হোক
১৯৭১ সালে দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ লোক ছিল স্বাধীনতার পক্ষে। বাকি ২ শতাংশ ছিল স্বাধীনতাবিরোধী ও পাকিস্তানি হানাদারদের দালাল। কেউ অস্ত্র হাতে নিয়ে যুদ্ধ করেছেন, কেউ স্বাধীনতার পক্ষে বিভিন্নভাবে কাজ করেছেন, কেউ অর্থ, অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয় দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা দিয়েছেন, করেছেন সাহায্য। এজন্য ১৯৫৪ সালের মধ্যে ও এর আগে যাদের জন্ম তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। সুতরাং কাউকেই ছোট করা ঠিক নয়। মুক্তিযোদ্ধারা নিয়মিত মাসিক ভাতা পাচ্ছেন ও ভাতার পরিমাণ বাড়িয়েও দেওয়া হয়েছে। এ কারণে অনেকেই ভাতা পাওয়ার আশায় হয়তো তাদের নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় ওঠানোর জন্য পুন আবেদন করেছেন বলে আমরা মনে করি। মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করতে যাচাইবাছাই চলছে। এ অবস্থায় যারা আবেদন করেছেন তাদের যাচাইবাছাই শেষে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম লিপিবদ্ধ করা হোক এই শর্তে যে, তারা কোনো অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধাভাতা পাবেন না। এ যাবৎ যারা মুক্তিযোদ্ধাভাতা পেয়ে আসছেন তাদের মধ্যে যারা সচ্ছল, তারা যাতে ভাতা না পান সেটিও কর্তৃপক্ষকে দেখতে হবে। অর্থাৎ ১৯৭১ সালে যুদ্ধে অংশ নিয়ে যারা পঙ্গু হয়েছেন, যে যোদ্ধা আজ হতদরিদ্র, দুবেলা ভাত পান না সেই সব মুক্তিযোদ্ধাকেই শুধু মুক্তিযোদ্ধাভাতা দেওয়া হোক। যারা সচ্ছল- ভাতা পাবেন না তাদের বাড়ির সামনে লিখে দেওয়া হোক-১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছেন, এই বীরের অবদান আমরা কোনোদিন ভুলব না। প্রয়োজনে ক্রেস্টও দেওয়া যেতে পারে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন