পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী টুঙ্গিপাড়ার ভ্যানচালক ইমাম শেখের মনের বাসনা পূরণ হয়েছে। পৃথিবীর মধ্যে সে এখন সবচাইতে সুখি ও ভাগ্যবান ব্যক্তি বলে দাবি করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মনের আশা পূরণ করায় ইমাম হোসেন প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য, সাফল্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছে। এ জন্য সে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকার কথা ব্যক্ত করেছে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে তার চাকরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ইমামের ভ্যান চলে যাচ্ছে যাদুঘরে। তার পিতা মানসিক রোগী আবদুল লতিফ শেখের চিকিৎসা ও ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে ৪০ হাজার টাকা সহায়তা করা হয়েছে।
গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিমান বাহিনীর যশোর ক্যান্টনমেন্টের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটির স্কোয়াড্রন লিডার হারুন-উর-রশিদ টুঙ্গিপাড়ার সরদারপাড়া গ্রামে ইমাম শেখের বাড়িতে গিয়ে ইমাম শেখের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন। এরপর তিনি ইমাম শেখের অসুস্থ পিতার চিকিৎসা ও ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে ৪০ হাজার টাকা তুলে দেন ইমামের মা শাহানূর বেগমের হাতে। এ সময় বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটির স্কোয়াড্রন অ্যাসিট্যান্ট লিডার দেলোয়ার হোসাইনসহ বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফা, টুঙ্গিপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি বি এম গোলাম কাদের সাক্ষী হিসেবে ইমাম শেখের নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর করেন।
এসব প্রক্রিয়া শেষে দুপুর ১২টার দিকে ইমাম শেখ ব্যাগেজ ও ভ্যান নিয়ে বিমান বাহিনীর গাড়িতে করে যশোরের উদ্দেশে রওনা দেয়।
বিমান বাহিনীর যশোর ক্যান্টনমেন্টের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটির স্কোয়াড্রন লিডার হারুন-উর- রশিদ বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ইমামকে বিমান বাহিনীতে চাকরি দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে তার নিয়োগপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ভ্যান আমরা যশোর নিয়ে যাচ্ছি। পরে এ ভ্যান যাদুঘরে পাঠানো হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, পরম মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী ইমামের মনের ইচ্ছা জানতে পেরে তা পূরণ করেছেন। দরিদ্র এ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দিয়েছেন ইমামের পিতার চিকিৎসা ও বাড়িঘর মেরামতের সহায়তা।
ইমামের মা শাহানূর বেগম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ছেলের চাকরি দেয়ার পাশাপাশি আমাদের জন্য সবকিছু করবেন এমন প্রত্যাশা করিনি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য যা করেছেন, তার জন্য আমার সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। তিনি আমাদের মতো গরিব মানুষের মুখে হাঁসি ফুঁটানোর জন্যই নিরলস কাজ করছেন। আল্লাহ তাকে দীর্ঘ দিন দেশ পরিচালনার এ মহৎ কাজে নিয়োজিত রাখুন এ দোয়া করি।
ইমামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইউনুস আলী মোল্লা জানান, ইমামের বাবা মানসিক রোগী। সংসারের অভাব-অনটনের কারণেই ইমাম পড়াশোনা ছেড়ে ভ্যান চালাত। প্রধানমন্ত্রী তার ভ্যানে চড়ার পর তার ভাগ্য বদলে গেছে। অত্যন্ত দয়ালু প্রধানমন্ত্রী তাকে চাকরি দিয়েছেন। তাদের পরিবারে দায়িত্ব নিয়েছেন এতে গ্রামবাসী খুবই আনন্দিত। প্রধানমন্ত্রীর এ মহানুভবতায় সবাই বঙ্গবন্ধু কন্যার জন্য দেয়া করছেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাতি-নাতনী নিয়ে ইমামের ব্যাটারি চালিত ভ্যানে করে টুঙ্গিপাড়া গ্রামে ঘুরতে বের হন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।