পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শুনলেন মিয়ানমার বাহিনীর লোমহর্ষক নির্যাতনের কথা
কক্সবাজার অফিস/টেকনাফ উপজেলা সংবাদদাতা : বাংলাদেশের পাশর্^বর্তী মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য থেকে সে দেশের মগদস্যু ও সরকারি সেনা-পুলিশের নির্যাতনে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা লক্ষাধিক রোহিঙ্গা মুসলিম নারী-পুরুষের কথা শোনার যেন কেউ নেই। মিয়ানমারে নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশে এলেও যেন তাদের নিরাপত্তার কেউ নেই।
বিষয়টি দেশি-বিদেশি মিডিয়া ও বিশ^ সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকৃষ্ট হলে জাতিসংঘ তৎপর হয়ে উঠে। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অবস্থা সরেজমিন দেখতে কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালি নতুন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন কফি আনান কমিশনের তিন সদস্য। এ সময় তারা রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে নির্যাতনের বর্ণনা শুনেছেন। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে রোহিঙ্গাদের মুখে মিয়ানমার বাহিনীর লোমহর্ষক নির্যাতনের কথা শুনেন।
এ সময় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইএমও), জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন (ইউএনএইচসিআর) ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। কফি আনান কমিশনের তিন সদস্য শনিবার ঢাকায় পৌঁছান। তারা হলেনÑ মিয়ানমারের নাগরিক উইন ম্রা ও আই লুইন এবং লেবাননের নাগরিক ঘাসান সালামে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, প্রতিনিধি দলটির সদস্যরা গতকাল ও আজ (সোমবার) কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন এবং স্থানীয় প্রশাসন, জাতিসংঘ ও অন্যান্য বিদেশি সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন।
আগামী বুধবার ঢাকা ত্যাগের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করবেন তারা। এ ছাড়া বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ এ একটি মতবিনিময় সভাতেও অংশ নেবেন তারা। প্রতিনিধি দলটি ফিরে গিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন দাখিল করবেন। আশা করা হচ্ছে, সেটা কফি আনান কমিশনের মূল রিপোর্টের অংশ হবে। এ কমিশনের ম্যান্ডেট অনুযায়ী তারা ২০১৭ সালের দ্বিতীয়ার্ধে রিপোর্ট প্রকাশ করবে।
উল্লেখ্য, গত ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা হয়। এতে সীমান্ত পুলিশের ১২ সদস্য নিহত হয়। এই হামলার জন্য রোহিঙ্গা মুসলমানদের দায়ী করে তাদের ওপর নিষ্ঠুর নির্যাতন চালায় মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের নির্যাতনে শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এ সময় সহস্রাধিক রোহিঙ্গা নারী-শিশু-পুরুষ বিভিন্ন নির্যাতনে প্রাণ হারায় বলেও জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।