Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুপ্রিম কোর্ট থেকে গ্রিক দেবি মূর্তি অপসারণ ও শর্ত লঙ্ঘনকারী অশ্লীল চ্যানেল বন্ধ করতে হবে -জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম মহানগর সভাপতি

| প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : মূর্তি অপসংস্কৃৃতি দুটিই ইসলামবিরোধী। মূর্তি অপসংস্কৃতিকে বৈধ মনে করলে ঈমান থাকবে না, মুসলমানিত্ব থাকবে না। তাই সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে মূর্তি অপসারণ ও অপসংস্কৃতির ধারক জঘন্য ভারতীয় চ্যানেলসহ সকল অশ্লীল ও অবৈধ চ্যানেল বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় মুসলমানরা ঈমানরক্ষার স্বার্থে মূর্তি ও অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে কঠিন আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে মূর্তি অপসারণ ও অশ্লীল ও ইসলামবিরোধী সকল চ্যানেল নিষিদ্ধ করার দাবিতে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি একথা বলেন। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদীন, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হেদায়েতুল ইসলাম, যুব জমিয়ত মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা তোফাজ্জল গাজালী।
মাওলানা আফেন্দি বলেন, ইসলাম এসেছে মূর্তির বিরুদ্ধে। রাসূল সা. বলেছেন, আমি প্রেরিত হয়েছি মূর্তির বিরুদ্ধে। তিনি আরো বলেন, রাসূল সা. বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ আইন প্রণেতা হিসেবে স্বীকৃত। আমেরিকা সুপ্রিম কোর্টের সামনের ফটকে রাসূল সা. নাম সর্বশ্রেষ্ঠ আইনপ্রণেতা হিসেবে লিপিবদ্ধ আছে। ভারতের সুপ্রিম কোর্টেও আইন প্রণেতারূপে কোন মূতির অবস্থান নেই। কোন মুসলিম দেশেও এরূপ কোন নজির নেই। তাহলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ বাংলাদেশের সুপ্রিমকোর্টের সামনে কেন মূর্তি থাকবে। সুতরাং সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে মূর্তি অপসারণ করতেই হবে। অন্যথায় জান-মাল দিয়ে হলেও ঈমান রক্ষায় ইসলামী জনতা গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হবে, যা সরকারের জন্য শুভ হবে না।
মাওলানা আফেন্দি বলেন, কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক আইন ২০০৬ এর ১৯ ধারার নিম্ন বর্ণিত উপধারা অনুযায়ী ভারতীয় ৩টিভি চ্যানেলসহ সকল অশ্লীল বিদেশী চ্যানেল নিষিদ্ধ হওয়ার যোগ্য। কারণ ১৯ ধারার ৩, ৪, ৫, ৮, ৯, ও ১০ উপধারার শর্তসমুহ অমান্য করে চলছে এ চ্যানেলগুলো। ২০১৪ সালের পর থেকে এ সকল টিভি চ্যানেল নবায়ণও হয়নি। উপধারা-৩, হিংসাত্মক, সন্ত্রাস, বিদ্বেষ ও অপরাধ সম্বলিত কোন অনুষ্ঠান করা যাবে না। উপধারা-৪ বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতি, সামাজিক, ও ধর্মীয় মূল্যবোধ ও জাতীয় সংহতি এবং রাষ্ট্রীয় ভাবমূর্তি পরিপন্থি কোন অনুষ্ঠান প্রচার করা যাবে না। উপধারা-৫, জাতীয় নিরাপত্তা ও জনস্বার্থ হানিকর কোন অনুষ্ঠান করা যাবে না। উপধারা-৮, অশালীন বা আক্রমাাত্মক কোন রসিকতা অঙ্গভঙ্গি নিত্য, গীত, বিজ্ঞাপন, সংলাপ বা সাব টাইটেল সম্বলিত কোন অনুষ্ঠান করা যাবে না। উপধারা-৯, নগ্নতা, নগ্ন ছায়াছবি, বস্ত্র উম্মোচনের দৃশ্য, দেহ প্রদর্শন, অশোভন অঙ্গভঙ্গি এবং যৌন ক্রীয়ার ইঙ্গিত সূচক বা প্রতিকী নাচ, অথবা অশোভন দৃশ্যাবলী সম্বলিত কোন অনুষ্ঠান করা যাবে না। উপধারা-১০, ধ্বংসাত্মক, শিশু-কিশোর অপরাধ বা অপসংস্কৃতিকে আকর্ষণীয় বা উৎসাহিত করতে পারে বা শিশুদের বুদ্ধিমত্তা বিকাশে ক্ষতিকারক হতে পারে এমন কোন অনুষ্ঠান প্রদর্শন করা যাবে না। অথচ উল্লেখিত শর্তসমুহ পরিপূর্ণ লঙ্ঘন করে অনুমোদনহীন বর্তমান অশ্লীল ভারতীয় চ্যানেলসমুহ প্রচারিত হচ্ছে।
অবৈধ এসব চ্যানেলগুলো থেকে ভাড়া বাবদ কোটি কোটি অবৈধ অর্থ আদায় করছে একজন জনপ্রতিনিধির অনুমোদন অতিক্রান্ত “জাদু ডিজিটাল কোম্পানী”। এসব ভারতীয় অবৈধ চ্যানেল থেকে সরকারি কোষাগারে কোন অর্থ জমা হচ্ছে না।  সুতরাং এসব ইসলামবিরোধী, দেশবিরোধী ও গণবিরোধী চ্যানেল এদেশে চলতে পারে না। এগুলোর বিরুদ্ধে ইসলামী জনতা জানমাল দিয়ে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ