Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা আজ

| প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে আজ। বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে সকাল সাড়ে ১১টায় আগামী ছয় মাসের নতুন এ মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন গভর্নর ফজলে কবির। জানা গেছে, মূল্যস্ফীতি নি¤œমুখী থাকায় নতুন মুদ্রানীতিতে বিনিয়োগ উৎসাহিতে বেসরকারি ঋণের প্রবাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। যাতে সরকার প্রক্ষেপিতহারে ৭ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করা যায়। নতুন মুদ্রানীতি প্রণয়নের আগে এবারও ব্যাংকার, অর্থনীতিবিদ, সাবেক গভর্নর, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিনিধিদের (স্টেকহোল্ডার) মতামত নেয়া হয়েছে। তারাও নতুন মুদ্রানীতিতে আগের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলেছেন, বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করলেও বিনিয়োগে অনিশ্চয়তা পুরোপুরি কেটে গেছে তা নয়। অবকাঠামো ও গ্যাস পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। ফলে ঋণের সুদহার কমলেও নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগের জন্য ঋণের চাহিদা করছেন না উদ্যোক্তারা। ফলে ব্যাংকিং খাতে উদ্বৃত্ত তারল্যের সমস্যা কাটছে না। তাই নতুন মুদ্রানীতিতে বিনিয়োগ আকর্ষণে ঋণের প্রবাহ বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে। একইসঙ্গে বিনিয়োগ যাতে ঝুঁকিপূর্ণ খাতে না যায় সেদিকেও সতর্কতা থাকতে হবে নতুন মুদ্রানীতিতে।  
চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। জাতীয় প্রবৃদ্ধির এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। আর বেসরকারি বিনিয়োগ তখনই বাড়বে যদি বেসরকারি উদ্যোক্তারা প্রয়োজনীয় ব্যাংক ঋণের চাহিদা করেন। কিন্তু নানা কারণে বেসরকারি খাতে ঋণ চাহিদা কম রয়েছে। এ কারণে বেড়ে গেছে অলস অর্থের পরিমাণ।
অন্যদিকে, মুদ্রানীতির অন্যমত কাজ হলো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। চলতি অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, ডিসেম্বরে দেশে পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ০৩ শতাংশ। যা গত সাড়ে চার বছরের মধ্যে সর্বনি¤œ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি থাকায় মূল্যস্ফীতি অনেকটাই নি¤œমুখী রয়েছে। ফলে নতুন মুদ্রানীতিতে ব্যক্তি বিনিয়োগ বাড়ানোর কৌশল নেয়া হবে। যাতে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনে করা যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ