Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঝিনাইদহে পুলিশের কান্ড

| প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অভিযুক্তকে না পেয়ে ভাইকে মেরে জখম  
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : কোটচাঁদপুরের পর এবার ঝিনাইদহের সদর থানার এ এস আই মামুন ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়ার সোহান (২২) নামে এক ইজিবাইক চালককে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর যখম করেছে। সোহানকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা  দেয়া হয়েছে। আহত সোহান চাকলাপাড়ার রুস্তম আলীর ছেলে।
সোহান অভিযোগ করেন, শনিবার দুপুরে একটি চাঁদাবাজির অভিযোগের সূত্র ধরে আমার বড় ভাই সোহাগকে খুঁজতে বাড়িতে আসেন এএসআই মামুন। এ সময তিনি আমার সাথে তর্কবিতর্কে লিপ্ত হন। সোহাগের
    ফোন কেন বন্ধ কেন এই প্রশ্ন তুলে তিনি আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। প্রতিবাদ করলে তিনি আমাকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন। খবরটি আমার প্রতিবেশীরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের জানালে ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই রবি ঘটনাস্থলে এসে আমাকে ক্লিনিকে ভর্তি করেন।
সোহানের মা অভিযোগ করেন, আমার এক ছেলের অপরাধে অন্য নিরীহ ছেলের উপর নির্যাতন চরম অন্যায়। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ মামুন ক্লিনিকের মালিক ডা. রাশেদ আল মামুন জানান, সোহান নামের এক ছেলেকে পা কাটা অবস্থায় অপরিচিত দুই ব্যক্তি ক্লিনিকে নিয়ে আসেন। তার পায়ে তিনটি সেলাই দেয়া হয়েছে। নির্যাতনকারী এএসআই মামুন জানান, সোহানের ভাই সোহাগ চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী ও অপরাধী। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিরও অভিযোগ রয়েছে। শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে সোহাগকে ধরতে তার বাড়িতে গেলে সোহান পুলিশের সাথে দুর্ব্যবহার করে। এ সময় পড়ে গিয়ে পাশের বেড়ায় পা কেটে যায় বলে মামুন দাবি করেন। তিনি আরো জানান, সোহানকে চিকিৎসাসহ এক হাজার টাকা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখের বক্তব্য জানতে একাধিকবার তাদের ফোন করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হরেন্দ্র নাথ সরকার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে সাংবাদিকদের সবকিছু বাদ দেয়ার অনুরোধ করেন। এদিকে কোটচাঁদপুরের পর ঝিনাইদহের চাকলাপাড়ায় পুলিশের পিটুনিতে এক যুবকের আহত হওয়ার ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে কোটচাঁদপুরের স্টেশন পাড়ায় চোখে টর্চ লাইট মারার কারণে আব্দুল মালেক (৪৫) নামে এক দিনমজুরকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন সাফদালপুর পুলিশ ফাঁড়ি’র এএসআই ইমতিয়াজ ও কনস্টেবল সামিনুল ইসলাম। আহত মালেক এখন যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেই রেশ কাটতে না কাটতে আবারো এই ঘটনা ঘটানো হলো।




 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ