Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রায়পুরে স্বামীকে গলাকেটে হত্যা স্ত্রী ও কন্যা গ্রেফতার

| প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে নিখোঁজের দুইদিন পর স্ত্রী রাবেয়া খাতুনের স্বীকারোক্তিতে স্বামী আবু তাহেরের (৫৫) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজের তিন দিন পর খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে গিয়ে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে রায়পুর উপজেলার চরপাতা গ্রামের রেহান উদ্দিন জমাদার বাড়ির একটি সেফটিক ট্যাংক থেকে লাশটি উদ্ধার করেন।
নিহত আবু তাহের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরপাতা গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে। ১৬/১৭ বছর আগে রাবেয়া খাতুনের সঙ্গে আবু তাহেরের বিয়ে হয়ে। তাদের সংসারে দুইটি মেয়ে ও একটি ছেলে রয়েছে।
এ ঘটনায় গতকাল শনিবার নিহতের ভাই নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৪০), কন্যা তানিয়া বেগম (১৬) ও পুত্র জাবেদকে (২১) আসামী করে রায়পুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে স্ত্রী রাবেয়া বেগম ও কন্যা তানিয়া বেগমকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। অপর আসামি নিহতের পুত্র পলাতক জাবেদকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
এর আগে বুধবার স্ত্রী, কন্যা ও পুত্র মিলে পারিবারিক কলহের জের ধরে আবু তাহেরকে গলাকেটে হত্যা করে। স্ত্রীর পরকিয়ার জের ধরে দীর্ঘদিন থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা।
শুক্রবার সকালে নিহতের বড় ভাই থানায় নিখোঁজের জিডি করলে পুলিশের তদন্তে স্ত্রী ও পুত্র-কন্যার সংশ্লিষ্টতা বেরিয়ে আসে। পরে পুলিশ স্ত্রী ও কন্যাকে আটক করে জিজ্ঞাসা করলে বেরিয়ে আসে হত্যার আসল রহস্য। উদ্ধার হয় লাশ।
নিহতের বড় ভাই নুরুল ইসলাম জানান, তিনদিন আগে বুধবার থেকে তার ভাই নিখোঁজ ছিলো। আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ নিলেও সন্ধান মিলেনি। এ কারণে শুক্রবার সকালে রায়পুর থানায় একটি জিডি করেন।
লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহ হলে নিহতের স্ত্রী রাবেয়া খাতুনকে আটক করে জিজ্ঞাসা করা হয়। এতে পুত্র-কন্যার সহযোগিতায় স্বামীকে গলাকেটে হত্যা করার দায় স্বীকার করে সে। পরে তার তথ্যমতে সেফটিক ট্যাংক থেকে লাশ উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।  স্ত্রী ও কন্যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ