পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মো. হেদায়েত উল্লাহ, টঙ্গী : টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের একটি শেড ভেঙে তাবলীগ জামাতের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী আহত হয়েছেন। গতকাল জুমার নামাজের পর স্বেচ্ছাসেবীরা দুপুরের খাবার গ্রহণকালে আকষ্মিকভাবে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মুসল্লিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ইউসুফ আলী (৭০), চাঁন মিয়া (৭০), রমিজ উদ্দিন (৬০) ও বাদল মিয়াকে (৬০) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আরো ২৩ জনকে। এখানে ৩৭ জনকে দেয়া হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা। আশপাশের বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে আরও অনেকেই চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা ইজতেমার প্যান্ডেল গোছানোর কাজে ময়দানে নিয়োজিত ছিলেন।
টঙ্গী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুসল্লিরা জানান, বাটা সু-কারখানার দক্ষিণ-পশ্চিম কর্নারে অবস্থিত বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের ভা-ার সংলগ্ন অস্থায়ী শেডে তাবলীগ জামাতের স্বেচ্ছাসেবকরা অবস্থান করে থাকেন। বাঁশের খুঁটির ওপর টিন ও লোহার পাইপ দিয়ে শেডটি নির্মিত। গতকাল জুমার নামাজ শেষে স্বেচ্ছাসেবকদের অনেকে খাচ্ছিলেন, আবার অনেকে খাবার গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় বেলা ২টা অতিক্রম করার পরই দক্ষিণ-পশ্চিম কর্নার থেকে শেড ধসে পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে থাকে। মুহূর্তের মধ্যে পুরো শেড নিচে ধসে পড়লে তিন শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক শেডের নিচে আটকা পড়েন। এ সময় স্বেচ্চাসেবকরা বাঁশের খুঁটি, লোহার পাইপ ও টিনের আঘাতে আহত হন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ইজতেমা ময়দানের বিভিন্ন পয়েন্টে কর্মরত অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক ও দমকল বাহিনীর কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে টিনশেড সরিয়ে আহত ও আটকে পড়াদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। আহতদের কারো মাথা, কারো হাত, কারো পা, কারো বুক, কারো চোখ, কারো পিঠে আঘাতপ্রাপ্ত হন।
আহত স্বেচ্ছাসেবকদের জিম্মাদার মো. জামির আলী জানান, ইজতেমা ময়দানের প্যান্ডেল অপসারণের কাজের জন্য ময়দানে বর্তমানে ৬০টি জামাত অবস্থান করছে। ময়দান পরিচ্ছন্নতার কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর বিভিন্ন মেয়াদের এসব চিল্লাধারী জামাত তাবলীগের দাওয়াতী কাজের জন্য নির্ধারিত এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। আশপাশের এলাকার মুসল্লিরাও ইজতেমা ময়দানের প্যান্ডেল গোছানোর কাজে অংশ নিয়ে থাকেন। দুর্ঘটনায় এসব অস্থায়ী স্বেচ্চাসেবকও আহত হন।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। তিনি টঙ্গী হাসপাতালে গিয়ে আহত মুসল্লিদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং আহতদের প্রত্যেককে চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষধপত্র সরবরাহ করেন।
গাজীপুর দমকল বাহিনীর উপ-পরিচালক আক্তারুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর উদ্ধারকর্মীরা সর্বাগ্রে ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং অধিকাংশ মুসল্লিকে তারা দ্রুততার সাথে হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
উল্লেখ্য, দুই পর্বে গত ২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এবারের বিশ্ব ইজতেমা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।