পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকার নানা অবকাঠামো উন্নয়নে ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। তারই অংশ হিসেবে প্রায় সাড়ে ১২’শ টাকার মেগা প্রকল্প ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’ এর কাজ এগিয়ে চলছে। যা ২০১৮ সালের শেষের দিকে গিয়ে সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে ডিএসসিসি প্রকৌশল বিভাগ থেকে। মেয়র সাঈদ খোকনের নির্বাচনি ওয়াদা গ্রিন ও ক্লিন ঢাকার অংশ হিসেবে এ প্রকল্পের আওতায় রয়েছে আরও বেশ কিছু ছোট ছোট প্রকল্প। যার একটি জল-সবুজে ঢাকা প্রকল্প। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষও হবে জানা গেছে।
ডিএসসিসি সূত্র জানা যায়, নগরবাসীর জন্য সুস্থ বিনোদন ব্যবস্থার জন্য রাজধানীর অনেকটা পরিত্যক্ত ১৯টি পার্ক ও ১২টি খেলার মাঠ নিয়ে মোট ৩১টি খেলার মাঠ ও পার্কগুলোকে জল-সবুজে ঢেকে নতুনরূপে সাজানো হবে। এরই মধ্যে এ মাঠ ও পার্কগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিয়োগকৃত এ প্রকল্পের কলসালটেন্ট স্থপতি রফিক আযমের নেতৃত্বে জল-সবুজের ঢাকা প্রকল্পে ৭০ জন স্থপতি কাজ করছেন।
এই প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ছোট ও বড়দের আলাদা খেলার মাঠ। পরিবার নিয়ে বেড়ানোর জন্য সুদৃশ্য স্থান। হাতিরঝিলের মতো জলাধারের পাশাপাশি তৈরি করা হবে সবুজ বাগান। এ পার্ক ও খেলার মাঠগুলোতে সিসিটিভি, ফ্রি ওয়াইফাই ও সার্বক্ষণিক মনিটরিং ব্যবস্থা থাকবে। ফলে যে কোনো মুহূর্তে পার্ক ও খেলার মাঠগুলোতে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তা দ্রুত সমাধান সম্ভব হবে।
জল-সবুজের ঢাকা প্রকল্পে যেসব মাঠের নকশা করা হয়েছে এর মধ্যে রয়েছে কলাবাগান মাঠ, বাসাবো মাঠ, লালবাগের দেলোয়ার হোসেন মাঠ, আমলিগোলা মাঠ, শহীদনগর মিনি স্টেডিয়াম, বালুরঘাট মাঠ ও শহীদ আবদুল আলিম মাঠ, বাবুবাজারের রহমতগঞ্জ মাঠ, বংশালের সামসাবাদ মাঠ, বাংলাদেশ মাঠ, গোলাপবাগ খেলার মাঠ এবং ধোলাইখালের সাদেক হোসেন খেলার মাঠ। আর পার্কের মধ্যে রয়েছেÑ কারওয়ান বাজারের পান্থকুঞ্জ, গুলিস্তানের ওসমানী উদ্যান, যাত্রাবাড়ী পার্ক, শরাফতগঞ্জ পার্ক, গুলিস্তান পার্ক, জিন্দাবাহারের সিরাজউদ্দৌলা পার্ক, জগন্নাথ সাহা রোড পার্ক, হাজারীবাগ পার্ক, নবাবগঞ্জ পার্ক, বংশালের সিক্কাটুলি পার্ক, বংশাল পার্ক, মালিটোলা পার্ক, ওয়াটার ওয়ার্কস রোডের বশিরউদ্দিন পার্ক, সায়েদাবাদের আউটফল স্টাফ কোয়ার্টার শিশুপার্ক, মতিঝিল পার্ক, ধানমন্ডি ৩ নম্বর পার্ক, হাজারীবাগের গজমহল পার্ক, বকশীবাজার পার্ক ও রসুলবাগ শিশুপার্ক।
এ ব্যাপারে ডিএসসিসির এক কর্মকর্তা বলেন, প্রায় দুই কোটি মানুষের এই শহরে নেই শিশুদের খেলার মাঠ নেই। কোথাও নেই বুকভরে সতেজ নিঃশ্বাস নেয়ার জায়গা। আর যে কয়টি পার্ক রয়েছে, তাও আবার দখল করে রেখেছে ভূমিদস্যুরা। তাই তো এবার রাজধানীর ৩১টি খেলার পার্ক অবৈধ দখল মুক্ত করে মাঠ তৈরির পরিকল্পনা করেছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। বর্তমানে ৩১টি পার্ক ও মাঠের উন্নয়নের জন্য ডিজাইন ও নকশা প্রণয়নের সঙ্গে ৭০ জন স্থপতি যুক্ত রয়েছেন বলে জানান তিনি।
স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, ঢাকাকে বাঁচিয়ে তোলার নতুন যাত্রা শুরু হয়েছে। নতুন প্রজন্মের কাছে একটি জল-সবুজের ঢাকা উপহার দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যে জল-সবুজ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, বিভিন্ন জরিপে প্রায়ই দেখা যায়, ঢাকা বসবাসের অযোগ্য শহর। এখানে শিশুরা খেলার মাঠ পায় না, খেলতে পারে না ফলে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটে না। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এর ফলে ঢাকা বদলে যাচ্ছে, বদলে যাবে। প্রাকৃতিক অবস্থা যত দূর সম্ভব বজায় রেখে নতুনত্বের কাজ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৩১টি পার্ক ও খেলার মাঠকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করে গড়ে তোলা হবে। এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে শিশুরা ও বয়ষ্করা আলাদা আলাদাভাবে খেলার সুযোগ পাবেন। নগরবাসী পরিবার নিয়েও বেড়াতে পারবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।