Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গত বছর মামলা ৬৯,৬৬৬টি : ২০১৫ সালে ছিল ৫৬,৬৫২টি

দেশে আশঙ্কাজনকহারে বেড়েছে অস্ত্র, বিস্ফোরক, মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান

| প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : দেশে অস্ত্র, বিস্ফোরক, মাদকদ্রব্য ও চোরাচালানের গত এক বছরে আশঙ্কাজনকহারে বেড়েছে। এ সংক্রান্ত মামলা এক বছরে ১০ হাজারের বেশি হয়েছে বলে পুলিশের অপরাধ তদন্ত (সিআইডি) বিভাগের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ত্র, বিস্ফোরক, মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান উদ্ধার মামলা ২০১৫ সালে ছিল ৫৬ হাজার ৬৫২টি, ২০১৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ৬৬৬টি।
পুলিশ সপ্তাহের চতুর্থদিনে বৃহস্পতিবার রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাহিনীর মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক এক মতবিনিময় সভা করেন। সেখানে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় বলে পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ শাখার কর্মকর্তা এ কে এম কামরুল আহছানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিআইডি ২০১৬ সালে খুন, ডাকাতি, দস্যুতা, নারী শিশু নির্যাতন, জাল-জালিয়াতি, প্রতারণা ও অন্যান্য মামলাসহ মোট ৩ হাজার ৪১টি মামলা নিষ্পত্তি করেছে। পুলিশের ওই বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে, ২০১৬ সালে সারাদেশে সংঘটিত বিভিন্ন ধরনের অপরাধ ২০১৫ সালের তুলনায় কমেছে।
২০১৫ সালে ডাকাতির মামলা ছিল ৪৯১টি, ২০১৬ সালে কমে হয়েছে ৪০৮টি। দস্যুতার মামলা ২০১৫ সালে ছিল ৯৩৩টি, ২০১৬ সালে কমে হয়েছে ৭২২টি। সিঁধেল চুরির মামলা ২০১৫ সালে ছিল ২ হাজার ৪৯৭টি, ২০১৬ সালে কমে হয়েছে ২ হাজার ২১৩টি। চুরির মামলা ২০১৫ সালে ছিল ৬ হাজার ৮১৯টি, ২০১৬ সালে কমে হয়েছে ৬ হাজার ১১০টি।
খুনের মামলা ২০১৫ সালে ছিল ৩৯৯৯টি, ২০১৬ সালে কমে হয়েছে ৩৫৫২টি। দাঙ্গাসহ খুনের মামলা ২০১৫ সালে ছিল ৩৭টি, ২০১৬ সালে কমে হয়েছে ১৯টি। নারী নির্যাতন মামলা ২০১৫ সালে ছিল ১৯ হাজার ৪৮৬টি, ২০১৬ সালে কমে হয়েছে ১৬ হাজার ৭৩০টি। শিশু নির্যাতন মামলা ২০১৫ সালে ছিল ১৭ হাজার ২৭টি, ২০১৬ সালে কমে হয়েছে ১ হাজার ৭১২টি। অপহরণ ও পাচার মামলা ২০১৫ সালে ছিল ৮০২টি, ২০১৬ সালে কমে হয়েছে ৬৩৯টি।
এ্ই বিষয়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক নুরুল হুদা বলেন, এখানে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে ক্ষতিকর বিষয়গুলোর ব্যবহার আছে। পুলিশের আরও তৎপরতা বাড়াতে হবে, যেহেতু সেটা কমে যায়নি। ডাকাতের কাছ থেকে উদ্ধার অস্ত্র ডাকাতের কাছ থেকে উদ্ধার অস্ত্র জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধার অস্ত্র-বিস্ফোরক জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধার অস্ত্র-বিস্ফোরক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়া রহমান মনে করেন, জঙ্গিবাদ দমনে তৎপরতার কারণে এটা হয়েছে। তিনি বলেন, জঙ্গির সঙ্গে রিলেটেড ইস্যুগুলো কারণে এমনটি হয়েছে। অন্য কোনো ইস্যুর কারণে এমনটি হচ্ছে বলে মনে করি না।
এই কারণে এটা মনে করছি, আমাদের এখানে সেই অর্থে মাফিয়া বা ওয়েস্টে যেই ধরনের নেটওয়ার্কিং, সেটা এখানে দুর্বল। সেটা শুরু হচ্ছে, তবে এখনও তেমন পর্যায়ে পৌঁছায়নি যে বলবো অস্ত্র বা বিস্ফোরক সেইভাবে আসছে।
তিনি আরো বলেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বারবার বলেছি, মাদকের বড় ইনভেস্টমেন্ট আছে, রাঘববোয়াল আছে, চোরাকারবারি আছে। ক্রাইম নেটওয়ার্কও ক্রিয়াশীল। তাই এজন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন জরুরি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সঙ্গেও এর যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। তারা প্রচুর ক্ষমতাবান, প্রচুর টাকা এখানে ইনভেস্ট করেছে। সেইটার একটা বাই প্রডাক্ট হলো এই জাতীয় জিনিস (বিস্ফোরক ও অস্ত্র)। এটাকে ফয়েল করার জন্য আলাদা গবেষণা হওয়া দরকার।
   



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ