পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : হিজাব পরিহিত এক মুসলিম মহিলা বিমানকর্মীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাথি মারার অভিযোগ উঠল এক পুরুষ যাত্রীর বিরুদ্ধে। সঙ্গে হুঙ্কার, এবার ট্রাম্প এসেছে। তোমরা জব্দ হবে। ঘটনাস্থল নিউইয়র্ক।
সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, গত বুধবার জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরের লাউঞ্জে নিজের দফতরে ছিলেন রাবিয়া খান নামে ডেল্টা এয়ারলাইন্সের ওই কর্মী। এমন সময়ে রবিন রোডস নামে ৫৭ বছরের এক ব্যক্তি তার ওপর আচমকা চোটপাট শুরু করেন।
সরকারি আইনজীবীর দাবি, রোডস এসে প্রথমে দরজায় লাথি মারেন। মহিলা যে চেয়ারে বসে ছিলেন, তাতে দরজার ধাক্কা লাগে। এরপরই চিৎকার করে তিনি মহিলাকে প্রশ্ন করেন, আপনি কী করছেন? ঘুমোচ্ছেন না প্রার্থনা করছেন?
রাবিয়া তাকে প্রশ্ন করেন, তিনি এমন কী অন্যায় করলেন যে তাকে এত কথা শুনতে হচ্ছে? মহিলার দাবি, উত্তরে রোডস বলেন, তুমি কিছুই করনি। কিন্তু আমার ইচ্ছে হচ্ছে তোমাকে লাথি মারতে। এই বলেই রোডস ওই মহিলার পায়ে লাথি মারেন। মহিলা পালাতে গেলে ওই ব্যক্তি লাথি মেরে দরজা আটকে দেন।
এরপর আরেকজন এসে রোডসকে শান্ত করার চেষ্টা করলে রাবিয়া সেখান থেকে ছুটে পালান। কিন্তু রোডস তার পিছু নেন। মহিলার সামনে গিয়ে তিনি মুসলিমদের প্রার্থনার ভঙ্গি করতে করতে চিৎকার করে জানান, ইসলাম, আইসিস শোনো। এখানে ডোনাল্ড ট্রাম্প এসেছেন। উনি তোমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। বাকিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এ ধরনের মানুষরা কেমন সেটা ফ্রান্স, জার্মানি বা বেলজিয়ামকে প্রশ্ন কর।
ম্যাসাচুসেটসের বাসিন্দা রোডসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মারধর, অবৈধভাবে আটকে রাখা এবং দুর্ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। যদি দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে প্রায় চার বছর পর্যন্ত হাজতবাস হতে পারে রোডসের। যদিও তার দাবি, ওই কর্মী পুরুষ না মহিলা তা তিনি বুঝতে পারেননি। সূত্র : এবিপি আনন্দ।
ট্রাম্প আতঙ্কে মুখ খুলছেন না মার্কিন বিজ্ঞানীরা
দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই বেশ কিছু আদেশ ও সিদ্ধান্ত নিয়ে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মার্কিন বিজ্ঞানীদের আতঙ্কের মধ্যে ফেলে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিজ্ঞানীরা এতোটাই গুটিয়ে গেছেন যে, ট্রাম্পের এসব সিদ্ধান্ত নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতেও রাজি হচ্ছেন না অনেকে। বিতর্কিত ডাকোটা অ্যাক্সেস ও কিস্টোন পাইপলাইন স্থাপনের অনুমতি, সরকারি কর্মকর্তাদের থামিয়ে দিয়ে এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন এজেন্সির (ইপিএ) চুক্তি বাতিল এবং প্রথমবারের মতো ইপিএ-র ওয়েবসাইট থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের কথা মুছে ফেলার নির্দেশের মধ্য দিয়ে এ আতঙ্ক তৈরি করেছেন ট্রাম্প।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি বিশ্বাস করেন না নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার মতে, এসব তথ্য ভিত্তিহীন। জ্বালানি চাহিদা মেটানোর জন্য জীবাশ্মের ভালো বিকল্প নেই। নিজেদের কাজ নিয়ে সম্প্রতি হোয়াইট হাউস থেকে কয়েক মাইল দূরত্বে এক বৈঠকে মিলিত হন জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিজ্ঞানীরা। সূত্র বলছে, এ বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন আসলেই বাস্তবিক কিনা- এমন কোনও কথা হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।