Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তুলা আমদানিকারক দেশ

ঢাকায় গ্লোবাল কটন সামিটের উদ্বোধনীতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কূটনৈতিক সংবাদদাতা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী বলেন, পোশাক শিল্পকে সচল রাখতে বাংলাদেশের প্রচুর পরিমাণে তুলার সরবরাহ প্রয়োজন। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তুলা আমদানিকারক দেশ। এই দেশে তুলার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর হোটেল র‌্যাডিসনে দুই দিনের গ্লোবাল কটন সামিটের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে এই সম্মেলন আয়োজন করেছে। ভারত, আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তুলা উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এই আয়োজনে অংশ নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, টানা দ্বিতীয় বারের মতো ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তুলা শিল্প সংশ্লিষ্টদের বার্ষিক সম্মেলন গ্লোবাল কটন সামিট। ঢাকায় বতসোয়ানার হাই কমিশনার লেসেগো ই মাতসুমি, ইন্ডিয়ান কটন অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মহেশ, এফবিসিসিআইর সহসভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, আফ্রিকান কটন অ্যাসোসিয়েশনের ইব্রাহীম মালুুম, বাংলাদেশ টেক্সটাইল অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী রফতানি শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ এই খাত যাতে সঙ্কটে না পড়ে সেদিকে দৃষ্টি দেয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, সঙ্কট কাটাতে দেশে তুলা উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে জোর দৃষ্টি দিতে হবে। আমরা আমাদের পোশাকপণ্যকে আরও বেশি প্রতিযোগিতামূলক করব। সেটা শুধু আমদানি ব্যয় কমানো মাধ্যমে নয়, বরং আমদানি নির্ভরতাও কমাতে হবে। বিশ্বের বড় তুলা উপাদনকারী দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ আরও শক্তিশালী করার উপর জোর দেন মাহমুদ আলী, যাতে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে কোনো ধরনের ধাক্কা সামাল দেয়া যায়।
এফবিসিসিআই সহসভাপতি শফিউল ইসলাম বলেন, আমাদের জমি সীমিত, যা আছে তা খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। তাই তুলা চাষ করার মতো পর্যাপ্ত জমি আমাদের দেশে নেই। বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীরা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে তুলা উৎপাদনে বিনিয়োগ করছে বলেও জানান তিনি। শফিউল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে যে তুলা উৎপাদন হয় তা কারখানার জন্য যথেষ্ঠ নয়। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা আফ্রিকায় জমি কিনবে, প্রয়োজনে লিজ নিয়ে, বর্গা নিয়ে তুলা চাষ করবে। সেখানে প্রচুর জমি পড়ে আছে।
বতসোয়ানার রাষ্ট্রদূত মাতসুমি বলেন, তার দেশ মধ্যম আয়ের রাষ্ট্রগুলোর তালিকাভুক্ত। মূলত হীরা রফতানি করে তারা অর্থনীতিতে শক্ত অবস্থান পেয়েছে। তবে শুধু একটি পণ্যের ওপরও নির্ভর করা যায় না বলে বতসোয়ানা কৃষির উপরও গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেছেন, এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে চান তারা। আমরা বাংলাদেশে বিক্রি করতে চাচ্ছি না, বরং এখান থেকে কিছু নিতে চাচ্ছি, বলেন তিনি।
বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শহীদুল্লাহ বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এতদিন তুলা শিল্পের এই সম্মেলন হলেও গত দুই বছর ধরে তা বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তুলা আমদানিকারক দেশ বাংলাদেশে হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ