পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার বার্ষিক মাহ্ফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলন গতকাল (শুক্রবার) লাখো মুসল্লীর অংশগ্রহণে সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে মাদ্রাসার মহাপরিচালক, হেফাজতে ইসলামের আমীর, শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহ্মদ শফী বলেছেন, খোদাভীতির অপর নাম তাক্বওয়া, আর এই তাক্বওয়া থেকে দূরে থাকার কারণেই বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মুসলমানগণ নানাভাবে পর্যুদস্ত ও নির্যাতিত হচ্ছে।
মুসলমানদের এই দুর্দশা থেকে রেহাই পেতে পূর্ণাঙ্গ তাক্বওয়া অর্জনের পাশাপাশি ঈমানী শক্তি নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। আল্লামা শফী অভিযোগ করে বলেন, আজ সর্বত্র ইসলামকে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চলছে। মুসলমানদের অনৈক্যের কারণেই ইসলাম নির্মূলবাদী ভোগবাদীরা নিজেদের স্বার্থে এটাকে কাজে লাগাচ্ছে।
ইসলামে অসত্য, অন্যায়, সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের কোন স্থান নেই। ইসলাম ন্যায় ও শান্তির ধর্ম। ইসলামকে অনুসরণ করতে পারলে এদেশে কোন হানাহানি ও সন্ত্রাস থাকবে না। আর ইসলামী শিক্ষায়ও কোন প্রকার সন্ত্রাসের স্থান নেই।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন, আল্লামা তফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী, আল্লামা মুফতী নূর আহমদ, আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী, মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলীপুরী, মাওলানা মুফতী মুজাফফর আহমদ, মাওলানা সাজেদুর রহমান, মাওলানা সালাহ উদ্দীন নানুপুরী, ড. মাওলানা আফম খালেদ হোসেন, মাওলানা সলীম উল্লাহ, মাওলানা মুফতী জসীম উদ্দীন, মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, মাওলানা মুহাম্মদ আনাস মাদানী, মাওলানা লোকমান হাকীম, মাওলানা সৈয়দুল আলম আরমানী, মাওলানা আজিজুল হক আল-মাদানী, মাওলানা নোমান ফয়জী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেহপুরী প্রমুখ।
হেফাজত মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, স্কুল পাঠ্যবইয়ে কয়েক বছর আগে সংযোজন করা নাস্তিক্যবাদী ও বিজাতীয় ধ্যান-ধারণার চরম বিতর্কিত কিছু গল্প-কবিতা বাদ দেয়ায় ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদী গোষ্ঠীর গায়ে জ্বালা ধরে গেছে। তিনি বলেন, জনগণের দীর্ঘদিনের আন্দোলন ও প্রতিবাদের পর সরকারের নীতি-নির্ধারকগণ বিষয়টির গুরুত্ব ও নাজুকতা উপলব্ধি করতে পেরে সিলেবাসে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।